ব্যবহারকারীর অজান্তেই তার তথ্য চুরি করতে পারে টি-৯০০০ নামের ম্যালওয়্যার। মার্কিন চলচ্চিত্র ‘টার্মিনেটর’-এ আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারকে টি-৮০০ নামের অ্যাসাসিন রোবটের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। ‘টার্মিনেটর-২’ তে এর থেকেও মারাত্মক টি-১০০০ নামের রোবট দেখা যায়। তাই টি-৯০০০ নাম থেকেই সম্ভবত ধারণা করা যেতে পারে ম্যালওয়ারটি কতটা ক্ষতিকর হতে পারে!
টার্মিনেটর চলচ্চিত্রে টি-৮০০ শরীরের একটি অংশ ফেলে লস এঞ্জেলেসের অর্ধেক ধ্বংস করে দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়, কিন্তু টি-৯০০০ তেমনটি নয়। এটি কম্পিউটারে আছে সেটি ব্যবহারকারী জানতেও পারবেন না। এটি আপনার কম্পিউটারে নীরবে বসে আপনার কম্পিউটারের তথ্য চুরি করবে বলে জানিয়েছেন নেটওয়ার্ক ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান পালো অল্টো নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা গবেষকরা।
কম্পিউটারের ডকুমেন্ট, ওয়েব হিস্টরি-এর মত সাধারণ জায়গা থেকে তথ্য চুরি করে এই ম্যালওয়্যার। কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেওয়া, এনক্রিপটেড ডেটা চুরির মত কাজ করতে পারে টি-৯০০০। এমনকি স্কাইপ থেকে আপনার কথোপকথনের অডিও আর ভিডিও ধারণ করতেও এটি সক্ষম।
এই ম্যালওয়্যারটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদেরকে টার্গেট করে থাকে। তবে যেহেতু এটি সব কম্পিউটারেই চলতে পারে এবং এটি ইনস্টল হতেও খুব কম সময় নেয়, তাই খুব দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে বলেও জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
পালো অল্টো নেটওয়ার্ক ইতোমধ্যেই ২৪টি জনপ্রিয় নিরাপত্তা সফটওয়্যার চালিয়ে এটি পরীক্ষা করে দেখেছে। কিন্তু কোনো সফটওয়্যারই এটি শনাক্ত করতে পারেনি। নিরাপত্তা সফটওয়ারে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি সনাক্ত করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।
টি-৯০০০ ভাইরাসটি মেইলের মাধ্যমে আরটিএফ এক্সটেনশন(.rtf extension) ফাইলে আসতে পারে পারে। আরটিএফ এর পূর্ণরূপ হল রিচ টেক্সট ফরম্যাট, যেটি খুব সাধারণ ফাইল ফরম্যাট নয়। তাই এই লিঙ্ক-এ ক্লিক করার আগে ২ বার চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছে পালো অল্টো নেটওয়ার্ক।
সূত্র: দেশেবিদেশেডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.