অপরাধী লুকিয়ে রাখতে সফল ডয়চে ভেলে: ইতোমধ্যে চার বছর পার হয়ে গেলেও সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি৷ খুনিদের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দোলন থামিয়ে দেয়া হয়েছে৷ কাউকে কাউকে দেয়া হয়েছে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে৷ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জার্মান বাংলা সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে তাদের পাঠকদের মন্তব্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে। প্রতিবেদনে একজন পাঠকের মন্তব্যের বরাত দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘এটাই কি গণতন্ত্রের নমুনা?’
‘‘সরকার চার বছরেও পারলো না সাগর-রুনির হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে! কি আজব দেশরে ভাই! আমরা নোংরা রাজনীতির কারণে পিছিয়ে পড়ে আছি৷ এখন রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা ও কালো টাকার৷ গুলির ভয়ে মানুষ মুখ খোলে না৷ এটাই কঠিন বাস্তবতা৷” এই মন্তব্য মুহাম্মদ আরিফুল হুদার৷
সরকারের কর্মকাণ্ডে খুবই বিরক্ত পাঠক রোকন মাহমুদ৷ সরকার সাংবাদিক দম্পতির রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের বিচার না করায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘অপরাধী লুকিয়ে রাখতে সরকার পুরাপুরি সফল৷”
সাগর সরওয়ার আর মেহেরুন রুনির হত্যার বিচারের দাবিতে ডয়চে ভেলের ফেসবুকের মাধ্যমে পাঠক অনামিকা সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে অপরাধ তো অনেক কিছুই…৷ কিন্তু কোনোটারই তো প্রতিকার হচ্ছে না৷ মানুষ এখন নিজেদের মতামত প্রকাশেও ভয় পায়৷ এটাই কি গণতন্ত্রের নমুনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?”
আতাহারের করুণ মিনতি, ‘‘আমি এই সাংবাদিক দম্পতির হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই৷”
বন্ধু শাবলু আহমেদ অবশ্য এখনও আশাবাদী৷ তিনি বলছেন, ‘‘একটুখানি অপেক্ষা করুন,
বিচার হবেই হবে৷”
খুনিদের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দোলনও হঠাত্ করে থামিয়ে দেয়া হয়েছে৷ আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সাংবাদিক নেতাকে দেয়া হয়েছে উপহার৷ সেই উপহার পাওয়ার পর সাগর-রুনির খুনিদের বিচার চেয়ে তাঁর আর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি৷ অন্যান্য সাংবাদিকরাও থেমে গেছেন ভয়ে৷ কোনো কোনো সাংবাদিককে আবার হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে৷
তবে সাংবাদিকদের হাল ছেড়ে দেয়া ভালো লাগছে না পাঠক যাযাবরের৷ সাংবাদিকদের সম্পর্কে তাঁর মত, ‘‘অধিকাংশ সাংবাদিক প্রশাসনের দালাল, দুর্নীতির সেবক৷ এদের কাছে জাতি বেশি কিছু আশা করে না৷ সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাইতেও তারা ভয় পায়৷ হায়রে সাংবাদিক!”
হত্যার মতো অপরাধ কি আরো কিছু আছে? নেই৷ আর সে কারণেই হয়ত তাহের সরদার বলছেন, ‘‘যে কোনো হত্যকাণ্ডের বিচারপ্রার্থীকে ভয় প্রদর্শন করা হত্যা করার মতোই অপরাধ৷”
‘‘সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার যারা করছে না বা বিচার করতে বাঁধা দিচ্ছে তাদের ধিক্কার৷” এই মন্তব্য ওমর ফারুক চঞ্চলের৷
আর পাঠক জুয়েলের কথায়, ‘‘মনে হয় এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কোনো রাঘব বোয়াল জড়িত৷”
সূত্র: শীর্ষনিউজডটকম,ডেস্ক।
You must log in to post a comment.