রফিক মাহামুদ; কোটবাজার :
উখিয়ার পালংখালী বাজারে অগ্নিকান্ডে ৭ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় হতদরিদ্র ব্যবসায়ীরা খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে। পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া পল্লী চিকিৎসক ডাঃ সুশীল চক্রবর্তি জীবনের অর্জিত সব সম্ভলটুকু হারিয়ে দিশাহারা হয়ে দুই চোখে অশ্রুই যেন তার শান্তনায় পরিণত হয়েছে। গরিবের ডাক্তার খ্যাত সুশীল চক্রবর্তি বাংলাদেশ স্বাধীনতাত্তোর সময় থেকে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে উখিয়ার পালংখালী বাজারে কার্তিকৃ সেবাঘর নামে একটি ছোট ঔষুধের দোকান খোলে মানবসেবা দিয়ে মানুষের ভালবাসা অর্জন করে। দিন রাত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে এলাকার গরীব দুঃখীদের কম দামে ডাক্তারী সেবা দিয়ে যা অর্জন করেছিল তা গত ১৩ মে ভোর রাতে নিষ্টুর আগুন কেড়ে নিয়েছে। অঙ্গিকান্ডের সময় একমাত্র ছোট ছেলে সন্তানের এস এস সি পাশের খবর শুনে খুশিতে মিষ্টি নিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী তার নিজ বাড়িতে যায়। এদিকে ওই দিন রাতের আধাঁরে পার্শ্ববর্তি কুলিং কর্ণার থেকে আগুন ধরে দোকানের ক্যাশ থেকে থাকা নগদ ২৭ হাজার সহ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ঔষুধ পুড়ে চাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ডাঃ সুশীল চক্রবর্তি ছুটে আসে তার ভাতঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পালংখালী বাজারে এসে দেখে খোলা আকাশের নিছে যেন সবকিছু ম্লান হয়ে গেছে। বুকপাটা আর্ত্মনাদে চারদিকে আকাশ ভারি হয়ে উঠে। এখন চোখের সামনে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার! তার ৬ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে বলে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান।
এছাড়াও হতদরিদ্র দর্জি বেলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কুলিং কর্ণার ব্যবাসায়ী নুর আহমদ, চাউল ব্যবসায়ী ছৈয়দ নুর ও আরেক ফার্মেসী ব্যবাসায়ী নুরুল আলম ও কম্পিউটারের দোকানদার মোঃ আমিন এখন খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবাসয়ীরা জানিয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে গত ১৩ মে রাত ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন, অগ্নিকান্ডে বষ্মিভূত হয়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদেরকে সহযোগীতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা শাহদাৎ হোসেন জুয়েল, এম এ মনজুর, বাজার কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন সওদাগর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।