
এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
ভোটার হালনাগাদে কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁওর তরুণ প্রজন্মরা ভোটার হতে মরিয়া। এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে ইউপিতেই ভোটার প্রত্যাশীদের ভীড় যেন চোখে পড়ার মত।
জানা যায়, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয় ভোটার হালনাগাদ প্রক্রিয়া। এবার ভোটার তালিকা অন্তর্ভূক্ত হতে গ্রামীন জনপদে তরুণ প্রজন্মের নর-নারীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেন। ভোটার হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাধি সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউপি পরিষদে ভোটার হতে ইচ্ছুকরা চেয়ারম্যানের সনদ পত্র, প্রত্যায়ন পত্র, অনলাইন জন্মনিবন্ধন কপি, চৌকিদার ট্যাক্স, পল্লী বিদ্যুতের কাগজ, বিবাহিত হলে কাবিন নামা, শিক্ষাগত যোগ্যতার ফটোকপি সহ সকল কাগজপত্রে চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত করতে ব্যস্তমুখর দিন পার করেছেন তারা। কেউবা ভাই-বোনের জন্য, কেউ নববিবাহিত স্ত্রীকে ভোটার করাতে, অনেকে আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়েও দৌড়ঁঝাপের মধ্য রয়েছেন।
৩রা আগস্ট বিকেলে ঈদগাঁও ইউপি পরিষদে প্রবেশ করলে নতুন ভোটার হতে আগ্রহীদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্যনীয়।পরিষদে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলাও যাচ্ছেনা এমন অবস্থা। ভোটার ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ চৌ কিদারদের সত্যায়িত নিতেই ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের নারী ও পুরুষদের ভীড় লেগে রয়েছে।
কেউ কেউ ভোটার হতে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারলেও অনেকে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছে।
ভোটার প্রত্যাশীরা জানান, ভোটার তালিকায় নাম অন্তভূর্ক্ত করণ যে এত কষ্ট তা আগে জানতান না। প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহে হিমশিমে পড়তে হচ্ছে বেশ কয়দিন ধরে। তারপরেও ভোগান্তি কমছেনা।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড়ের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা নুর জাহান নিলা জানান, ভোটার হালনাগাদ প্রক্রিয়া চলতি মাসে ২১ তারিখ পর্যন্ত চলবে। প্রতি ওয়ার্ডেই দুই শতাধিক ভোটার ফরম রয়েছে। এমনকি নতুন ভোটার হতে একজন ভোটারকে দিতে হচ্ছে ১৭টি প্রয়োজনীয় কাগজ।
স্থানীয়রা জানান, নতুন ভোটার প্রত্যাশীরা অনেকে হতাশায় ভোগছেন। কেউবা তথ্যাদি দিতে পারলেও অনেকে জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে।
You must log in to post a comment.