এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ফলে দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে কর্মজীবী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বাড়েনি করোনার সচেতনতা।
৫ এপ্রিল সকাল দশটায় পর থেকে ঈদগাঁও স্টেশন ও বাজার এলাকায় করোনার সচেতনতায় মাঠে অবস্থানে রয়েছেন ঈদগাঁঁও থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতারও নেই অনেকের। সচেতনতা শেষে পুলিশ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গেলে পরক্ষণেই আবারো একই কায়দায় পরিণত করে তুলে লোকজন।
লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতেও চোখে পড়ে। ঘরে থাকুন, মাস্ক পড়ুন ও নিরাপদে থাকার কোন বালাই নেই। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতেও চোখে পড়ে।
কর্মজীবীরা জানান, বিগত বছরেও করোনায় লকডাউনসহ কঠোর অবস্থায় ছিল প্রশাসন। ঠিক এ বছরও একই সময়ে লকডাউনের কবলে দেশ। নেই কাজকর্ম, বাড়ীতে থাকতে হচ্ছে। এমনি অবস্থায় পরিবার পরিজনসহ সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দামও চড়া। মানবিক বিবেচনায় লকডাউন কালে ত্রান সহায়তা প্রদানের আহবানও জানান তারা।
ঈদগাঁওতে দায়িত্বরত টিআই পলাশ জানান, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধের নিদের্শনা থাকার পরেও যান চলাচল করায় বেশ কয়টি গাড়ী আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনার সচেতনতায় মাইকিং করে জনগণকে অবহিত করেন উপজেলা প্রসাশন ও ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ।
You must be logged in to post a comment.