অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ :
কক্সবাজার জেলায় প্রতিবছর ইট ভাটা থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। এছাড়া এসব ভাটায় বিপুল পরিমাণ ভূ-উপরস্থ মাটি ব্যবহার করায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমি। বিধি নিষেধ অমান্য করে জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা এসব ইটভাটায় ইট পোড়ানোর ফলে দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র। ওই সব ইটভাটার মধ্যে বেশীরভাগ ইট ভাটা জেলা প্রশাসনের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইট পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানা গেছে।
বছরের পর বছর প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জ্ঞাতসারে ওইসব ইট ভাটা গুলোতে ইট পোড়ানো হলেও এ ব্যাপারে এমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মধ্যদিয়ে সীমাবদ্ধ থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা ওইসব অবৈধ ইটভাটা থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। অথচ আধুনিক প্রযুক্তির ইট ভাটা ব্যবহার করে কার্বন নি:স্বরণ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, বেশীরভাগ ইট ভাটা ফসলী জমি নষ্ট করে গড়ে তোলা হয়েছে। আবার অনেক ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। তাছাড়া ওইসব ইটভাটার মালিকগণ সরকারের নির্ধারিত ভ্যাটও পরিশোধ করছেনা বলে অভিযোগে প্রকাশ। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে উল্লেখ রয়েছে পরিক্ষীত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব ইট ভাটা করার কথা থাকলেও অনেক তা মানছে না। একদিকে লোকলয়ের পাশেই ফসলী মাঠে গড়ে উঠা ওইসব ইট ভাটার কারণে যেমন নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি। অন্যদিকে বনভূমি উজার করে কাঠ পোড়ানোর কারণে মারাত্মকভাবে দূষণ করা হচ্ছে পরিবেশ।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এ বলা হয়েছে, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির ইট ভাটা স্থাপন করতে হবে। কৃষি জমি পাহাড় টিলা থেকে মাটি কেটে ইটের কাঁচা মাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া পরিবেশের ছাড় পত্র ছাড়া ইট উৎপাদন করলে অনধিক ১বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ১লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। ইট ভাটায় জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করলে অনধিক ৩বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৩লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।
You must be logged in to post a comment.