কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবসের র্যালি শেষে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় যে ব্যক্তিকে ভিডিও ফুটেজে শর্টগানের গুলি ছুড়তে দেখা গেছে, তাঁর নাম আনিচুর রহমান ওরফে আনিচ। তিনি ছিলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। প্রায় দেড় বছর আগে ঢাকার পল্লবী থানায় থাকাকালে ফেনসিডিল আত্মসাতের দায়ে তিনি চাকরিচ্যুত হন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান।
জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া শেষে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি তাদের পরিচয় জানাতে রাজী হয়নি। এরপর থেকে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। জানা গেছে বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা আনিচ বহিষ্কৃত নেতা মোমিজের চাচাতো বেয়াই এবং প্রতিবেশী।
এদিকে আজ রোববার হত্যার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একরাম উল হাবিব। তিনি আজ প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য শুনতে চাইলে স্থানীয়রা মুখ খোলেনি। এসময় সাংবাদিকরা ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকাইনয়ে প্রশ্ন তুলতে তিনি বলেন, পুলিশের হাতে ক্লু রয়েছে। আশা করা হচ্ছে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করবে। পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা আমরা বিষয়টি দেখবো। সে যেই হোক গাফলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
এদিকে আজ ভোর রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজের লাইসেন্সধারী শর্টগান ৫৬ রাউন্ড গুলিসহ বাজেয়াপ্ত করেছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রেজা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সংঘর্ষে একজন নিহতসহ উভয় পক্ষের অন্ততপক্ষে ৫ জন আহত হয়।
-শীর্ষ নিউজ ডট কম, ডেস্ক।
You must log in to post a comment.