কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে (সংগত কারনে নাম প্রকাশ করা হলোনা) অপহরণের পর ৩০ঘন্টা জিম্মি রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিন বখাটে যুবক ওই ছাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে যাওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে থানায় খবর পৌছালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণ ঘটনার মূল হোতা মনোর আলম (৩০)কে বুধবার বেলা ২টার দিকে আটক করেছে।
পলাতক অপর দুই বখাটেকে আটক করতে অভিযান চলছে। আটক মনোর আলম ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহল গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে গতকাল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ভিকটিম, তার মা বাবার উদ্বৃতি দিয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ডুলাহাজারা পাগলির বিল এলাকার কলেজ ছাত্রী নিজ কলেজে যাওয়া আসার সময় প্রায়ই উত্তক্তের শিকার হতো মনোর আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন বখাটে কর্তৃক।
বখাটেরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিচার চাইতেও সাহস করেনি ছাত্রীর পরিবার।
৩১ আগষ্ট সকাল ৯টার দিকে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার পথে বখাটেরা জোরপূর্বক সিএনজি ট্যাক্সিতে তুলে অপহরণ করে। অজানা স্থানে নিয়ে টানা ৩০ঘন্টা জিম্মি রেখে দু’বখাটের সহায়তায় মনোর আলম একাধিকবার ধর্ষণ করে ছাত্রীকে। ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তার বাড়ীর সামনে রখে পালিয়ে যায়।
ওসি প্রভাষ ধর আরো জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ছাত্রীসহ অভিভাবকরা থানায় ঘটনাটি জানায়। এ খবর পেয়ে বুধবার বেলা ২টার দিকে এসআই দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিয়ান চালিয়ে ধর্ষক মনোর আলমকে পাহাড়ী এলাকা থেকে আটক করে। ঘটনাটির ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ডাক্তারী পরীক্ষা করতে ভিকটিম ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.