ভারতের শংকর বেদান্ত মঠ ও মিশনের সভাপতি শ্রী শ্রী ১০৮ বিবোধানন্দ সরস্বতী মহারাজ বলেছেন, সনাতন কখনও সম্প্রদায়িকতাকে প্রশয় দেয়না। ধর্মে আলাদা পথ থাকতে পারে কিন্তু সকলের গন্তব্যস্থল একই এবং অভিন্ন। ২৪ জানুয়ারি রবিবার রাত ১০টায় কক্সবাজারের চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চিরিংগা যুব কল্যাণ সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ধর্ম সম্মেলনের ২য়দিন প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক সমাজে সুধীজনদের নিয়ে সমাজ গঠন করতে পারলেই জাতি এগিয়ে যাবে। সেই জন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব মানবতা আজ হুমকির মুখে। মানবতাকে জাগ্রত করতে হলে আমাদের প্রত্যেককে ধর্মের পথে ধাবিত হতে হবে। তবেই আমাদের মুক্তি সম্ভব।
ধর্মসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহোত্সব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে, স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি ধনরঞ্জন দাশ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম । সভায় আরো আলোচনা করেন- শ্রীমত্ স্বামী মহানন্দ পুরী মহারাজ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.জাহেদ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর লক্ষন কান্তি দাশ, চকরিয়া বর্ণমালা একাডেমীর চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ দুলাল, ফরিদুল ইসলাম, রতন বরণ দাশ, মহোত্সবের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি দাশ, সমীর দাশ, বাবুল দে, প্রদীপ কান্তি দাশ, দিলীপ সুশীল, দিলীপ কান্তি দাশ, চকরিয়া নিত্যানন্দ গীতা সংঘের সভাপতি শ্রীদুল রঞ্জন দাশ, সদস্য রতন কান্তি দাশ, নন্দরাম দাশ, নেপাল দে, অন্তরা সাংস্কৃতিক শিক্ষা কেন্দ্রের তবলার শিক্ষক রাজু চক্রবর্তীসহ প্রমুখ।
অনুষ্টান পরিচালনা করেন- চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কান্তি দাশ।
অনুষ্টানের শুরুতে গীতাপাঠ ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এদিন ভোররাত থেকে ষোড়শ প্রহরব্যাপী নামযজ্ঞ আরম্ভ হয়। আগামী বুধবার ভোরে পুর্ণাহুতির মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটবে।
You must log in to post a comment.