গণমানুষের আকাংখা ও প্রত্যাশা অবশেষে পুরণ হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উত্তীর্ণ করনে প্রধান বাঁধা সড়ক ঘেষা দোকান, মার্কেট ও বিপনী কেন্দ্র উচ্ছেদ শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবার ৬ মার্চ সকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজারে সড়ক পথে যাতায়াত সুবিধা ও আকর্ষণীয় করে তুলার পাশাপাশি যানজট মুক্ত রেখে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নিত করা হচ্ছে। সরকার কক্সবাজারকে উন্নয়নের রুল মডেল ঘোষনার অংশ বিশেষ এই সড়ক প্রসস্থকরণ।
চকরিয়ার আজিজনগর থেকে শুরু করা উচ্ছেদ অভিযান খুটাখালীর নতুন অফিস পর্যন্ত মহাসড়কের ৩৯ কিলোমিটার অংশে স্টেশন এলাকায় এস্কেভেটর দিয়ে অধিগ্রহণ করা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ’র) জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে,নামমাত্র দোকানপাট মালিক পক্ষ নিজেরাই খুলে নিয়ে যাচ্ছে।
সওজ কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েক মাস পূর্বে সওজের জমিতে নির্মিত মালিকদের নোটিশ দেয়া হলেও কর্ণপাত করেনি কোন মালিক। উল্টো চকরিয়া পৌর শহরে মার্কেট না ভাঙ্গতে আদালতের একটি আদেশপত্র উপস্থাপন করা হয়। ফলে বিলম্ব ঘটে উচ্ছেদে। অবশেষে ৪ ও ৫ মার্চ মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা করা হয় মালিকরা নিজেদের প্রতিষ্টান নিজেরাই সরিয়ে নিতে। এই প্রচারণাও আমলে নেয়নি কেউ।ফলে সওজ কর্তৃপক্ষ রবিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। আজিজনগর থেকে দোকান গুড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে হারবাং, নতুনবাজার, বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা, একতাবাজার, বানিয়ারছড়া ও জিদ্দাবাজারে সওজের অধিগ্রহণের আওতায় পড়া দোকানপাট গুড়িয়ে দেয়া হয় বিকাল ৩টার মধ্যে। স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অপরাপর ব্যবসায়ী ও মালিকদের মাঝে। এতে পৌরশহর, ডুলহাজারা ও খুটাখালী স্টেশনের কয়েকজন দোকান ও মার্কেট মালিক নিজেদের স্থাপনার অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ও খুলতে শুরু করে। কিন্তু অধিকাংশ মালিকের যেন মাথাব্যাথা নেই ভাঙ্গন নিয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরশহরের বেশ ক’জন ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেট মালিকরা ব্যবসায়ীদের শান্তনা দিলেও অগোচরে উচ্ছেদে খুশি তারা। যে দোকান ২০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা আগাম বা সেলামি নিয়ে দেয়া হয়েছিল ওই দোকান ফের নির্মাণ করে কয়েকগুন বেশী টাকা নেয়ার ফন্দি এটেছে মালিকরা। তাই উচ্ছেদে বেজায় খুশি তারা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আজিজনগর থেকে জিদ্দাবাজার পর্যন্ত ৬টি ছোট-বড় স্টেশনে অন্তত ২’শ দোকান গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও মালিকরা কর্ণপাত না করায় সওজ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। সড়ক প্রসস্থকরণ ও চার লেনে উন্নিত করতেই এই উচ্ছেদ। এই উচ্ছেদ অভিযানে কেউ বাঁধা দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must log in to post a comment.