সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / টেকনাফে বৃষ্টি ও বন্যার দোহাই দিয়ে চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি : হতাশায় ভুগছে ক্রেতারা

টেকনাফে বৃষ্টি ও বন্যার দোহাই দিয়ে চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি : হতাশায় ভুগছে ক্রেতারা

Giasuddin Bolo - 24-8-2015 (news & Pic)গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :

কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের বাজারগুলোতে দিন দিন নিত্য পণ্য সামগ্রীর দাম বেড়ে চলছে। এর কারণ টানা দেড় মাস ধরে লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যা।

এদিকে টেকনাফসহ সারাদেশে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কৃষকদের লক্ষ লক্ষ টাকার উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় ফসলি জমির গুলো বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে সব কিছু বিলিন হয়ে যায়। এতে বেশ কয়েকদিন ধরে টেকনাফের বাজার গুলোতে তরিতরকারিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৫০/৬০ টাকার নিচে কোন তরকারি পাওয়া যাচ্ছেনা। নতুন কোন তরকারি বাজারের এলে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা মূল্য দিয়ে বিক্রি হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ তারা পড়ছে বিপাকে। আবার বৃষ্টি ও বন্যার দোহাই দিয়ে বাজারের কিছু অসাধু খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা নিয়ম-কানুন না মেনে নিত্য পণ্য সামগ্রী দাম বাড়িয়ে অবাধে বিক্রি করে যাচ্ছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষরা।

সরেজমিনে টেকনাফ উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারগুলোর মধ্যে মাছ, মাংস, তরকারী ও মুদির দোকানে কোথাও মূল্যের কোন তালিকা নেই। এর মধ্যে টানা বর্ষণ গাড়িভাড়া বৃদ্ধি আরো নানান অজুহাত দেখিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে সাধারন ক্রেতাদেরকে। বন্যায় ও টানা বর্ষনের আগের মূল্যর চেয়ে প্রতি কেজি সব্জিতে ২০-২৫ টাকা বেশি নিচ্ছে। এতে হতদরিদ্র মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই।

হাট বাজার ঘুরে আরো দেখা যায়- চাউল, পেয়াজ, রসুন, মরিচ, সব্জি, শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম অতিরিক্ত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব খাদ্যদ্রব্যগুলোতে গত দেড় মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেশি আদায় করা হচ্ছে।

এ সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে পাইকারী কিছু অসাধু দোকানদার।

কিছু ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, টানা বৃষ্টি ও বন্যা যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি এবং ঝুকি নিয়ে মালামাল আনতে হয়। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুন খরচ পড়ে যায়। আবার ঢাকা-চট্টগ্রামের আড়ৎ ও গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় মূল্য একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সাধারণ ক্রেতারাও যেখানে ১ কেজি ক্রয় করতো তাতে এখন নিচ্ছে তার অর্ধেক। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/