নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ
কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় ২৩ জুলাই স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে আটক করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম ২০১০ সালের ১৯ মার্চ তার মেয়ে রহিমা খাতুন এর সাথে বিয়ে দেন সদর ইউনিয়নের মাটপাড়া গ্রামের জম কালাইয়ার ছেলে নুরুল আজিজ এর সাথে। বিয়ের সময় মেয়ে জামাইয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের উপহার হিসেবে জামাইকে ফানির্চারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র প্রদান করেন। এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে বিয়ের পর থেকে স্বামী, শ্বাশুড়ী, দেবরসহ শ্বশুড়ী বাড়ির লোকজন টাকার কথা বললে ২০ হাজার টাকা এনে দেন। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতে আরো ১ লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য রহিমা খাতুনকে শারিরীক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। বিয়ের এক বছর সব নির্যাতন সে মুখ বুঝে সহ্য করে আসে। ৩ এপ্রিল রহিমা খাতুনকে তার বাবার বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা আনার জন্য বলে এবং এতে সে রাজি না হওয়ায় তার উপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রহিমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেই থেকে রহিমার বাবা মা মেয়ের বিচার পাওয়ার জন্য অনেক বিচার শালিসে বসেন। বিন্তু মেয়ের জামাইর লোকজন ক্ষমতাধর হওয়ায় কোথাও বিচার পায়নি। বিচার না পেয়ে হতভাগা নারী রহিমা খাতুন কক্সবাজার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। মামলা নং- ৩৯/১৫।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আতাউর রহমান খন্দকার জানান, রহিমা খাতুন বাদি হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে করেন থানার এসআই সানাউল স্বামী আজিজ এবং শ্বাশুড়ী হামিদা খাতুনকে আটক করেছেন।
You must log in to post a comment.