দেশ জুড়ে চলতে থাকা অসহিষ্ণুতা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাওয়াতও। তিনি আজ এখানে একটি ছবির প্রদর্শনীর ফাঁকে বলেন, ‘‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেন এমন না হয় যে, সেটা অন্যের ভাবাবেগে আঘাত করে। আমরা বহু ভাষা-ধর্ম-বর্ণের দেশে বাস করি। কোনও বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু মন্তব্য করা একটা বিরাট ব্যাপার। তা ছাড়া বাড়িতে, বা কাজের জায়গাতেও কী বলছি, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।’’
গত কাল অবশ্য জয়পুর সাহিত্য উত্সবে বলিউডের আর এক অভিনেত্রী কাজল দাবি করেন, তাঁদের কাজের দুনিয়ায় অসহিষ্ণুতা নেই। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সমাজে যা ঘটছে বলিউড সব সময় সেটাই তুলে ধরে। এখানে প্রত্যেকেই স্বাগত। বলিউডে কোনও বিভাজন নেই, জাতপাত নেই, ধর্ম নেই। এবং অসহিষ্ণুতা নেই।’’
কিন্তু ‘কুইন’-এর অভিনেত্রী কঙ্গনার দাবি, ‘‘প্রত্যেককে শব্দের ক্ষমতা বুঝতে হবে। একটি শব্দের অর্থ এক এক জনের কাছে এক এক রকম। তাই খুব ভেবেচিন্তে শব্দ চয়ন করা উচিত। কারণ পরবর্তী কালে ওই মন্তব্য নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি হতেই পারে। তখন যেন কোনও ব্যক্তিকে বলতে না হয় যে, আমি এমন কথা বলিনি।’’
এই ভাবে মতপ্রকাশের জেরে তাঁকেও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা। তাই এখন তাঁর উপলব্ধি, ‘‘মাথায় রাখতে হবে কিছু বললে তার প্রশংসাও হতে পারে, আবার সমালোচনাও হতে পারে।’’
এ দিনই অবশ্য জয়পুর সাহিত্য উত্সবে লেখকদের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন গীতিকার এবং উর্দু কবি জাভেদ আখতার। তিনি বলেছেন, ‘‘যা মনে হয়, সেটা বলা উচিত। কিছু জিনিস ঠিক আর বাকি সব ভুল, এমনটা ভেবে নেওয়া উচিত নয়। কী লেখা উচিত আর কী নয়, তা নিয়ে কি একটা পোস্টার তৈরি করবে কেউ? লেখক যা ভাবেন, তা তাঁকে লিখতে দেওয়া উচিত।’’
তবে শুক্রবার ওই উত্সবে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন চিত্রপরিচালক কর্ণ জোহর। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বাক্স্বাধীনতা কোথায় এখানে? আমার তো মনে হয়, গণতন্ত্র এখানে তামাশা।’’ তা নিয়েও শুরু হয় আর এক প্রস্ত বিতর্ক। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এই প্রসঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে তিনি বলেছেন, ‘‘কর্ণ জোহর ঠিকই বলেছেন। এ দেশে প্রকাশ্যে এক জনই তাঁর ‘মন কি বাত’ (মনের কথা) বলতে পারেন। আর কেউই পারে না।’’
সূত্র: দেশেবিদেশেডটকম,ডেস্ক।
You must log in to post a comment.