গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ:
মিয়ানমারে উত্পাদিত মরণ নেশা ইয়াবা কিছুতেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। কারণ ইয়াবা পাচারকারিরা খুবেই সক্রিয়। সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করতে যতই কঠোর হচ্ছে ইয়াবা ব্যাবসায়ীরা ততই তাদের নিত্য নতুন কৌশলে পাচার কাজ অব্যাহত রেখেছে। ইদানিং পাচারকারিরা ইয়াবা পাচারের মূল হাতিয়ার হিসাবে এখন বেচে নিয়েছে অসহায় রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীদেরকে। সেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ বিজিবি সদস্যরা তাদের বিশেষ অভিযানে চলতি মাসের প্রথম সাপ্তাহে হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকা থেকে ৬ জন রোহিঙ্গা যুবতীসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আটক করে। ঠিক এখই নিয়মে ২০ জুন সোমবার বেলা ২টা দিকে হ্নীলা বিওপির হাবিলদার নজরুলের নেতেৃতে বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা চেীধুরী পাড়া ও জালিয়া পাড়ার মাঝা মাঝি বিশেষ অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা ১৬ হাজার ৩৬৫ পিস মরন নেশা ইয়াবা সহ ৯জন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছে, মো: আয়ুবের ছেলে নুর হাসান (২৪), আলতাছ মিয়ার ছেলে সলিম কালাম (২৫), মুত কালু মিয়ার ছেলে আবু তাহের (২৫), মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মো: ইমাম হোসেন (৩০), মো: সলিম ছেলে মো: দলু (২৫), লালুর ছেলে নুর হাকিম (১৯), আবুল কাসেমের ছেলে মো: আনোয়ার (৩৫), আবুল কালেমের নুর হাকিম (২৪), সমসু আলমের ছেলে মো: আবুল্লাহ (২২), এরা সাবাই মিয়ানমারের (মংডু) এলাকার।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপির সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার ৩৬৫ পিস ইয়াবা সহ ৯ জন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে। তিনি আরো বলেন, টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশল হিসাবে ইয়াবা পাচারে রোহিঙ্গাদেরকে ব্যবহার করছে তাদের সেই কৌশলকে প্রতিহত করে আমাদের সদস্যরা পাচারকারি সহ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে।
You must log in to post a comment.