অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:
কক্সবাজার জেলায় পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে কক্সবাজার জেলার সর্বত্রেই পশুর হাটে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। দীঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ আসা বন্ধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে।
জানা যায়, মিয়ানমারের খামারিরা বাংলাদেশের বাজারকে টার্গেট করে গরু ছাগল পালন করে থাকে। তাই মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ-ছাগল আমদানি করা দরকার। এমনটিই মনে করছেন এখানকার গরু ব্যবসায়ীরা। তা না হলে কোরবানির পশুর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
কোরবানীর ঈদকে ঘিরে মিয়ামার থেকে আসতে শুরু করেছে গরু-মহিষ। উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের গরু-মহিষ আসছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবারের কোরবানীর ঈদে পশুর সংকট হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, মিয়ানমারের গরু, মহিষ, ছাগলে ভরে গেছে।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর আগেও মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধ ছিল, ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এখানকার পশুর হাট। এতে গরুর মাংসের দামও বেড়ে গেয়েছিল উদ্বেকজনক হারে। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানী শুরু হওয়ায় পশুর হাটের চিত্রও পাল্টাতে শুরু করেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি আরো বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে পশুর হাটের বেচাকেনা জমে ওঠবে।