মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে। চলমান ২য় সাময়িক পরীক্ষায় নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি না করে অন্য উপজেলা থেকে প্রশ্ন ক্রয় করে পরীক্ষা নিচ্ছে। এতে করে সিলেবাসের সাথে প্রশ্নপত্রের মিল না থাকায় বেকায়দায় পড়েছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা।
সরজমিনে বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, লামা উপজেলায় ৩ আগস্ট বুধবার হতে ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। প্রথম দিন ইংরেজী বিষয় ও ২য় দিন ৪ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু সিলেবাসের সাথে ২য় সাময়িক পরীক্ষার ইংরেজী ও বাংলা বিষয়ে কোন মিল নেই। এ দুই দিনে যে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তা চকরিয়া উপজেলার প্রশ্ন।
নুনানবিল মডেল, চেয়ারম্যান পাড়া, টিটিএন্ডডিসি ও চাম্পাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে কয়েকজন শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিস পরীক্ষার পূর্বে সিলেবাস ভিত্তিক প্রশ্ন করে অফিসে জমা দিতে বলে। কিন্তু পরীক্ষা সময় শিক্ষকদের করানো সিলেবাস ভিত্তিক প্রশ্ন কোথায় যে চলে যায় তা শুধু লামা শিক্ষা অফিসাররা বলতে পারবে।
বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসলে তারা বলেন, অফিস হতে দেওয়া সিলেবাস ভিত্তিক পড়ানো পর পরীক্ষা সময় যদি সিলেবাসে সাথে প্রশ্নের মিল না থাকে তাহলে কেন বা সিলেবাসটি দিয়েছেন? শিক্ষা অফিসের ভুলের কারণে ফলাফল খারাপ করলে এই দায় কে নেবে। এ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি অপরাধ করেছে? কেন বা তাদের প্রতিভা এভাবে শেষ করছেন? সিলেবাস ভিত্তিক কেন বা প্রশ্ন করা হচ্ছে না? যেহেতু বাইরে থেকে প্রশ্ন কিনে আনবেন তাহলে কেন বা সিলেবাস দিয়েছেন?
প্রশ্নপত্র অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রশ্ন তৈরি কমিটি’র আহবায়ক যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির সদস্য সচিব সহকারী শিক্ষা অফিসার আশিষ কুমার মহাজন। প্রশ্ন তৈরি করতে ঊনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের তৈরি প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কথা। কিন্তু অন্য উপজেলা প্রশ্ন দিয়ে কেন পরীক্ষা নেয়া হল এ বিষয়ে তাদের জবাব দিতে বলা হবে। কোন প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিললে ছাড় দেয়া হবেনা।
You must log in to post a comment.