মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
অতিথি পাখির কিচিরমিচির কলরবে মুখর হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। শীত বাড়ার সাথে সাথে প্রতিবছরের মতো এবারও অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে লেকের পাড়ে। লেকজুড়ে হাজার হাজার লাল পদ্মের মাঝে পাখিদের ওড়া-উড়ি দেখতে পার্কে ভীড় করছে দর্শীণার্থীরা। আর পাখিদের কিচিরিমিচির ডাকে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের।
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে হিমালয়ের উত্তরে শীত নামতে শুরু করার ফলে উত্তরের শীত প্রধান অঞ্চল সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, নেপাল, জিনজিয়াং ও ভারত থেকে পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল বাংলাদেশে হাজারো অতিথি পাখির আগমন ঘটে। বাংলাদেশের যেসব এলাকায় অতিথি পাখি আসে তার মধ্যে চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব সাফারি পার্ক একটি।
সাফারি পার্ক সূত্রে জানা যায়, যখন অতিরিক্ত শীত পড়া শুরু করে তখন অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তারা সাধারণত বিশ্রাম নেয় লেকের পানিতে ভাসতে থাকা পদ্ম ফুলের উপর। এগুলো হাঁস জাতীয় পাখি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উড়ে আসা অতিথি পাখির মধ্যে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, পান্তামুখী, পাতারি, মুরগ্যাধি, কোম্মডাক, পাতারী হাঁস, জলকুক্কুট, খয়রা ও কামপাখি রয়েছে।
এছাড়া মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, বামুনিয়া হাঁস, লাল গুড়গুটি, নর্দানপিনটেল ও কাস্তেচাড়া প্রভৃতি পাখিও মাঝে মধ্যে দেখা মিলে এই লেকে। এরা ডানায় ভর করে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এ অঞ্চলে আসে।
পার্কে ঘুরতে আসা বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, বন্ধুদের সাথে নিয়ে পার্কে ঘুরতে এসেছি। খুব ভাল লাগছে। বিশেষ করে লেকে অতিথি পাখিদের কিচিরমিচির শব্দটাই বেশি ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে কোন বাঁশির সুর শুনছি।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিবছরই সাফারি পার্কে অতিথি পাখি আগমন ঘটে। বিশেষ করে যখন খুব বেশি শীত পড়ে তখন এই পাখির আগমন ঘটে। এক সময় এখানে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখির আগমন ঘটত। কিন্তুএখন আগের মতো তেমন পাখি আসেনা।
তিনি আরো বলেন, পার্কের লেকে আগমনকৃত অতিথি পাখিদের যাতে দর্শণার্থীরা বিরক্ত না করে সেজন্য নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.