সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / আলীকদমে অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার আসামী ১০ বছর পর র‍্যাবের হাতে আটক

আলীকদমে অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার আসামী ১০ বছর পর র‍্যাবের হাতে আটক

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :

পার্বত‍্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার শিলবুনিয়া এলাকার ২০১২ সালে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে চট্টগ্রামে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও টেকনাফ অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী কর্তৃক পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী সাদেক হোসেন মুন্না’কে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‍্যাব-৭। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় ১১জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

র‍্যাব-৭ বর্ণিত আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর অপহরণ এবং গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। অবশেষে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ৯ আগস্ট রাত আড়াইটায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন মৌলভীরকুম বাজার এলাকা হতে বর্ণিত অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলার পরোয়ানাভুক্ত ১নং এবং প্রধান আসামী সাদেক হোসেন মুন্না (৩২) কে আটক করতে সক্ষম হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী ১৬ বছর বয়সের বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার শিলবুনিয়া এলাকায় তার নানীর বাড়িতে থাকতেন। আসামী সাদেক হোসেন মুন্না প্রায়ই কিশোরীর এলাকায় আসা যাওয়া করত এবং কিশোরীর পরিচিত ছিল। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সাদেক হোসেন মুন্না উক্ত কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে অসৎ উদ্দেশ্যে আলীকদম হতে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম নেয়ার পর সাদেক হোসেন মুন্না কিশোরীকে একটি আবাসিক হোটলে নিয়ে ২০১২ সালের ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিন তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সাদেক হোসেন মুন্না ওই কিশোরীকে প্রথমে কক্সবাজারের চকরিয়া এবং পরবর্তীতে টেকনাফ থানার একটি অজ্ঞাত বাড়িতে কয়েকদিন আটকে রেখে উপর্যুপরী ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২১ মার্চ সাদেক হোসেন মুন্না কিশোরীকে কতিপয় দুস্কৃতিকারীর নিকট রেখে সেখান থেকে চলে আসে। সাদেক হোসেন মুন্না চলে আসার পর ৪/৫ জন দুস্কৃতিকারী ভিকটিমকে ২২ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী কৌশলে একজন দুস্কৃতিকারীর মোবাইল থেকে তার এক মামাকে সমস্ত ঘটনা অবহিত করে। কিশোরীর মামা তাকে উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আসামীরা বিপদ বুঝতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে টেকনাফ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টেকনাফ থানার পুলিশ আহত কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানায় সাদেক হোসেন মুন্না’কে প্রধান আসামী উল্লেখ করে মোট ১১জনকে আসামী করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/