ইতালির নির্বাসিত রাজা দ্বিতীয় আমবার্তোর একমাত্র ছেলে ইমানুয়েল ফিলিবার্তো এখন পাস্তা বিক্রেতা। যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে গাড়ি নিয়ে পাস্তা বিক্রি করেন তিনি।
এক সময়ের প্রতাপশালী সেই রাজা নেই, সাম্রাজ্যও হাতছাড়া হয়ে গেছে, তাই ভাগ্য গড়ার জন্য ফিলিবার্তো আমেরিকায় পাড়ি জমান। তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় এসে একটি ইভেন্টে যোগ দেই। তখন দেখতে পাই এখানে অনেক মেক্সিকান ও এশিয়ান ফুড পাওয়া যায়। ভাবলাম বিশ্বজুড়ে সমাদৃত পাস্তা নিয়ে আমিও এখানে ব্যবসার চেষ্টা করতে পারি।’
সেই ভাবনা থেকেই নিজের জন্য একটা ফুড ট্রাক কেনেন তিনি। তাতে রং করে লেখেন- ‘প্রিন্স অফ ভেনিস’। ফিলিবার্তো জানিয়েছেন লস এঞ্জেলেসের সব সুন্দর ও রঙিন ফুড ট্রাক দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তবে ঐসব ফুড ট্রাকের প্রায় সবগুলোই ছিলো মেক্সিকান ও এশিয়ান, একটিও ইতালিয়ান ছিল না। এটা দেখার পর থেকেই তার মাথায় ধারণাটি আসে। এরপর তিনি মারকো পাডেরনো নামে একজন শেফ নিয়োগ দেন। এভাবেই শুরু হয় এক প্রিন্সের পাস্তা বিক্রি।
রাজ পরিবার দ্য হাউস অফ স্যাভয় ইতালি শাসন করে ১৮৬১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত। ইতালির শেষ রাজা দ্বিতীয় আমবার্তো, সিংহাসনে বসার এক মাস পরই তাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ইমানুয়েল ফিলিবার্তো জেনেভায় জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেছেন সেখানেই। প্রথমবারের মতো তিনি ইতালিতে যান ২০০২ সালে। সে বছর ইতালির শাসনতন্ত্র পরিবর্তন হওয়ার পর নির্বাসিত রাজ পরিবারের সদস্যরা দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পায়।
ফাস্ট ফুডের ব্যবসা শুরু করার আগে ফিলিবার্তোকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লাল গালিচায় দেখা যেতো। তিনি ইতালিয়ান টিভি শো ‘ড্যান্সিং ইউথ দ্য স্টারস’, ‘টু প্রিন্সিপেট এন্ড নভিস’ এ অংশ নিয়েছেন। তবে সেসব তাকে খুব একটা টানেনি। তাই এখন ফাস্ট ফুডের ব্যবসাই তার ধ্যান-জ্ঞান। ব্যবসাও ভালো চলছে।
ফিলিবার্তো এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দ্য প্রিন্স অফ ভেনিস’ ফুড ট্রাক ইতিমধ্যেই খুব ভালো ব্যবসা করছে। আমেরিকানরা অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়ার কাজটা সারতে চান। পার্কে বেঞ্চে বসে লাঞ্চ করতে চান তারা। এ ক্ষেত্রে আমি কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দেই তাদের।
সূত্র:risingbd.com
You must be logged in to post a comment.