এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
জেলার বৃহৎ কোরবানী পশুর হাট হচ্ছে কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁওর হাটটি। পশুর হাটে বৃহত্তর এলাকার গ্রামগঞ্জ থেকে ছোট-বড় গরু মহিষ আনছেন বিক্রেতারা।
৫ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরের পরপরে কোরবানি পশুর হাটে নানা সাইজের গরু মহিষে ভরে উঠে। দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন। আবার অনেকে দরদামে ব্যস্তমুখর হয়ে পড়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও কক্স বাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ ঈদগাঁওর স্টেশনের দীর্ঘলাইন জুড়ে কোরবানী পশুর হাট জমে উঠে। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এই জাতের গরুর দাম তুলনা মূলকভাবে বেশি। পাশাপাশি বড় আকারের গরু ও মহিষ চোখে পড়ে। দাম কিন্তু দ্বিগুন। বাজারে বহুজন কোরবানীর কাঙ্খিত পশুর হিসেব মিলাতে পারলেও অনেকে পারেননি। গ্রামীন জনপদ ক্রেতারা টেনশনে রয়েছে। কোরবানীর শেষের দিকেও কেনার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।
পশুর বাজারে আসা স্থানীয় কয়জন জানালেন, কোরবানির জন্য দেশীয় গরুর দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। কিন্তু দাম চড়া। বেশ সংখ্যক গরু ও বেচাবিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।
দেখা যায়, গরু মহিষ রাখার জন্য আলাদা পরি সরে সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনি সর্বদা টহলে রয়েছে। জাল নোট শনাক্তকরন বুথ রয়েছে বিশাল পশু বাজারে। বৃহত্তর ঈদগাঁও উপজেলা লোকজন ছাড়াও রামু, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকেও আসছে কোরবানীর গরু-মহিষ কিনতে। তবে এ বাজারে কোরবানীর পশু কিনতে এসেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস, ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমসহ অনেকে।
বাজারের ইজারাদার রমজান কোম্পানী জানান, এই হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে সুষ্টু ও সুন্দর পরিবেশে কাঙ্খিত, পছন্দের গরু মহিষ কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়। বাজারের সৌন্দর্য্য বাড়াতে তোরণও স্থাপন করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.