হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষ দিকে এসে উখিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলে বিএনপির দাপট বাড়বে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা সালাম সিকদার। নির্বাচনের মাঠ নিরপেক্ষ থাকলে ফল তাদের দিকে আসবে বলে মনে করেন তিনি। তার এমন মন্তব্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতারা।ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা বলেন, এই মুহুর্তে উখিয়া বিএনপির অবস্থা তেমন ভাল নয়। যদিও উখিয়া বিএনপির নতুন কমিটি যাত্রা শুরু করেছে-এরপরও তৃণমূলের নেতারা জেগে উঠতে পারছেন না। অনেক স্থানেই বিএনপির প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক না নিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করছেন। আগামী ৪ জুন উখিয়া ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন। দলীয় প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।
কক্সবাজারের রাজনৈতিক সচেতন এলাকা উখিয়ার সর্বত্রই উত্সবের আমেজ বইছে। নির্বাচন উত্সব নিয়ে উত্সাহ উদ্দীপনার যেন কমতি নেই। হাঁটিতে হাঁটিতে (পাড়া বা গ্রামে) চলছে প্রচারণা।
উখিয়া সদর রাজা পালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হয়ে নৌকার হাল ধরেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সফল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একক প্রার্থী হয়েছেন নতুন মুখ সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিব। ঐতিহ্যবাহি উখিয়ার দু পরিবারের লড়াই ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে। এখানে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। দু-পরিবারের মর্যাদার লড়াইয়ে ভোটাররা এবার ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করছেন। ভোটার বুদরুজ বলেন, এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিজয় সু-নিশ্চিত। কারণ ক্ষমতা, অর্থ ও জনসমর্থন যেমন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর রয়েছে তেমনি তার উন্নয়ন দৃশ্যমান।
অপরদিকে ভোটার ইউনুছ বলেন, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী থেকে শুরু করে পরিবারের সকল সদস্য মাঠে নেমে পড়েছেন। নৌকার বিজয় এত সহজ হবে না। কারণ আওয়ামীলীগের শাসনে জনগণের নিরাপত্তা নেই। এরপরও এখানে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। ভোট উত্সবে মাতোয়ারা। উখিয়া সর্বত্র আলোচনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ৪ জুনের নির্বাচন। মুদি দোকান থেকে চা দোকান। সর্বস্থানের জম্পেশ আড্ডায় উঠে আসছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। মাঠে-ঘাটে সবখানেই শুধু নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন লোকজন। নির্বাচন জ্বরে ভাসছে গোটা উপজেলা।
You must be logged in to post a comment.