কক্সবাজারের চকরিয়ায় ২১ জন জুয়াড়িকে আটক করলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়েছে ১৩জনকে। পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে । ৩জনকে পথে ও থানায় আনার পর ৫জনকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানোর আগে ১৩ জুয়াড়িকে লঘু শাস্তি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকেও পুলিশ কমবেশী টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
গত সোমবার রাতে জুয়াড়িদের আটকের পর মঙ্গলবার সকালে ১৩জনকে পাঠানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ১৩ জুয়াড়ির প্রত্যককে ১’শ টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন। এসময় জুয়াড়িরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে জরিমানার টাকা আদায় করে ছাড়া পান। তবে থানার ওসি দাবি করেছেন ২১জন নয় ১৮জনকে থানায় আনা হয়েছিল। বিভিন্ন জনের অনুরোধ ও মুচলেকা নিয়ে ৫জনকে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসময় কোন অর্থ লেনদেন হয়নি।
আটককৃত জুয়াড়িরা হলেন- মোহাম্মদ শাহিন, ফজল করিম, বাদশা, বশির আহমদ, মঞ্জুর আলম, হাবিবুর রহমান, বদি আলম, মনছুর আলম, আবুল কালাম, আহমদ নবী, বাদশা, শফি আলম ও আলাউদ্দিন। তাদের প্রত্যকের বাড়ি চকরিয়া পৌরশহরে।
অভিযোগ উঠেছে, ঘনশ্যাম বাজার এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রশিদকে থানা থেকে ছেড়ে দিতে তার ভাই লিয়াকত আলী পুলিশকে ৬ হাজার টাকা দেয়। ভরামুহুরী এলাকার ইউছুফ আলীর ছেলে বুলুকে ছাড়তে নেয়া হয় ৪ হাজার টাকা। অনুরুপভাবে পথে ও থানায় আনার পর ৮ জুয়াড়িকে ছাড়তে ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাথা পিছু উৎকোচ আদায় করে পুলিশ।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, গত সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। তন্মধ্যে ৫জনকে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির জিম্মায় দেয়া হয়। কোন টাকা–পয়সার লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়েছে ১৩জনকে।
You must be logged in to post a comment.