গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করছে রোহিঙ্গারা এবং মোবাইল দোকানদাররা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে হয়রানী শিকার হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারন।
গত কয়েকদিন ধরে দেখা যায়, কাষ্টমার কেয়ার ও মোবাইল দোকানগুলোতে নারী পুরুষদের দীর্ঘ লাইন, ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা। অনেকে আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার নানা অনিয়মের অভিযোগ পর সিম নিবন্ধন করতে না পেরে বাড়িতে ফিরে আসছে।
এদিকে সরকার বায়েমেট্রিক পদ্ধতিতে জনগণকে সিম নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে অপারেটর নিয়োগ দেয়। তাদের কাজ হল জাতীয় পরিচয় পত্র দুই কপি ছবি ও আঙ্গুলের চাপ নিয়ে সিম নিবন্ধীত করা। অথচ টেকনাফ উপজেলায় চলছে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী পুরুষরা সিম নিবন্ধন করে যাচ্ছে। এই সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে অসাধু অপারেটর ও মোবাইল দোকানিরা।
বিভিন্ন সূত্রে আরো জানা যায়, টেকনাফের এক ব্যক্তির নামে ১০-১৫টি সিম নিবন্ধন হচ্ছে এর কারন হচ্ছে সেই ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র ও আঙ্গুলের চাপ দিয়ে সিম নিবন্ধন করে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করার জন্য মোবাইল কোম্পানীগুলোকে বাধ্যতামূলক সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেই সূত্র ধরে গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ও পৌরশহরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে মানুষের ভিড় জমে যায়। আর সে সুযোগে নানান কৌশল নিয়ে সিম নিবন্ধন করে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সরকারের তরফ থেকে গ্রাহক হয়রানি এবং সিম নিবন্ধন করতে কোন প্রকার টাকা আদায় না করতে কড়া নির্দেশনা থাকলেও টেকনাফের কিছু অসাধু অপারেটরা প্রকাশ্যে গ্রাহক প্রতি সর্বনিম্ন ২০ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম বলেন সিম নিবন্ধন করার সময় সঠিক জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহের মাধ্যমে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা আদায় না করে সিম নিবন্ধন করতে বলেন। আর রোহিঙ্গারা যেন সিম নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, সিম নিবন্ধন করতে অবৈধভাবে ফি নেওয়া, রোহিঙ্গাদের সিম নিবন্ধন করে দেওয়ার খবর পেলে ধরিয়ে থানায় দিতে বলেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফের সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন অভিমত প্রকাশ করে বলেন যে সমস্ত অসাধু টাকা লোভী লোকেরা নিজের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদেরকে সিম নিবন্ধন করতে সাহয্য করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে সিম নিবন্ধন ও বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে সরকার যতই পদ্ধতি ব্যবহার করুক না কেন কোন কিছুই কাজে আসবে না।
You must be logged in to post a comment.