ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন দত্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী।
১৯৯১ সালের ২৪ জানুয়ারি দায়ের করা অস্ত্র মামলায় কারাভোগ করছিলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। কিন্তু তাঁর মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৪ সালে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
এ রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া নিজাম হাজারীর সাজা খাটার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তলব করেন।
কিন্তু নিজাম হাজারী ঠিক কবে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সে বিষয়ে আদালতের নথিতে দুই রকম তথ্য থাকায় গত ২৮ নভেম্বর এ মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়েছিলেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশ অনুযায়ী, কারা কর্তৃপক্ষ ১ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানির পর নিজাম হাজারীর সাংসদ পদের বৈধতার বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত।
সূত্র:ntvbd.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.