অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ :
মেহেদীর দাগ না শুকানের আগেই, বিয়ের একমাসের মধ্যে যৌতুকের নির্মম বলি হলো কক্সবাজার সরকারী কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী হাসিনা আক্তার। যৌতুকের দাবী মেঠাতে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষোভে স্বামী ও শ্বাশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করে তাকে। মঙ্গলবার ২৯ মার্চ সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যম মাইজ পাড়াগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াই টার দিকে ঈদগাও তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পুলিশ দল ঘটনাস্থল থেকে হাসিনার মৃত দেহ উদ্ধার করে। তবে এসময় বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার শহরের নাপ্পাজা পাড়ার মৃত. আব্দুল মোনাফের মেয়ে হাসিনা আক্তারের (২২) সাথে চৌফদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যম মাইজ পাড়া গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে ইয়াসিন আরফাতের (৩২) সাথে ঝাঁকঝমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিয়ে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের পর থেকে স্বামী ইয়াসিন তার ব্যবসার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক হাসিনাকে তার পিত্রালয় থেকে এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। হাসিনার পরিবার ওই পরিমাণ যৌতুক দিতে না পারায় এবং তার দাবী মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৯ মার্চ সকালে নানা কৌশলে হাসিনাকে হত্যা করা হয় বলে নিহত পরিবারের দাবী।
নিহতের হাসিনার ছোটভাই ও কক্সবাজার আইন কলেজের ছাত্র দেলেয়ার জানান, ঘাতক ইয়াসিন পরিকল্পিতভাবে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সহযোগিতায় আমার বোন হাসিনাকে হত্যা করে। এমনকি মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উল্টো আমাদের ফোন করে মৃত্যুর খবরটি জানায় পাষণ্ডরা।
ঈদগাও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ঘটনাস্থল থেকে হাসিনার মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
You must be logged in to post a comment.