দীপক শর্মা দীপু, কক্সভিউ :
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রহস্যজনকভাবে মারা গেছে এক হাজতি। ১৯ নভেম্বর শনিবার সন্ধার দিকে কারা অভ্যন্তরে মারা যায় সে। নিহত নজির আহমদ (৪৫) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়া পাড়ার আব্দু শুক্কুরের পুত্র। তার ২ মেয়ে ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানান, হাজতি নজির আহমদের ১৯ নভেম্বর শনিবার কারাগারের অভ্যন্তরে মারা যাওয়ার একদিন পর ২০ নভেম্বর রবিবার কারা কর্তৃপক্ষ লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসায় রহস্য আরো ঘণীভূত হচ্ছে। জরুরীভাবে মৃত্যুর আগে কেন হাসপাতালে নেয়নি।
রবিবার হাসপাতালের মর্গের সামনে অর্পণ নামে এক ডেপুটি জেলারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করতে চাইলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে মোটর সাইকেল যোগে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
মোহাম্মদ শাকের নামে নিহতের এক ভাইপো জানিয়েছে, ১৯ নভেম্বর শনিবার এশার নামাজের পর কক্সবাজার কারা কর্তৃপক্ষ সাবরাং ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহমুদুর রহমানের মোবাইলে ফোন করে নজির আহমদের মৃত্যুর সংবাদ জানায়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্যই তাদের কাছে মৃত্যুর সংবাদটি পৌঁছে দেন। নিহতের ভাই মকতুল হোসেন জানিয়েছেন, তারা হাসপাতালের মর্গে নজির আহমদের শুধু চেহারা দেখেছেন। অন্য কোন অঙ্গ দেখেননি। তবে, কারান্তরীন অন্যান্য স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে জেনেছেন শনিবার এশার নামাজের পর নজির আহমদ কয়েকবার বমি করেছিল। এরপর রাতেই কারাগারে মারা যায়।
নিহত নজির আহমদের মৃত্যু সম্পর্কে জানার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুলতান আহমদ সিরাজীর বলেন-‘হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে তাকে মৃত পাওয়া যায়। রবিবার বিকাল ৫টার দিকে ময়না তদন্ত হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুল রশিদ আকন্দ জানান, হার্ট এ্যাটাকে এ কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধায় এ কয়েদির মৃত্যু হলে নিয়মানুযাী তাকে সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য ২০ নভেম্বর প্রেরণ করা হয়।
You must be logged in to post a comment.