মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মিনার উদ্দিন জিকু (২৮) নামের নিরীহ এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তিকে আসামী হিসেবে দেখিয়ে দেয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা গণধোলাই দিয়েছে সোর্স হেলাল উদ্দিন (৩৫)কে। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা কাকারা ইউনিয়নের মাঝের ফাঁড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জনতার রোষের মুখে পুলিশ পিছু হটে থানায় চলে আসে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশের পিটুনিতে গুরুতর আহত মিনার উদ্দিন জিকু উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি এলাকার বশির আহমদের ছেলে। জনতার পিটুনিতে আহত কথিত সোর্স বেলাল উদ্দিন একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে।
জানা গেছে, চকরিয়া থানার একদল পুলিশ সোমবার রাতে কাকারার মাঝের ফাঁড়িতে যাই ওয়ারেন্টি আসামী গ্রেপ্তার করতে। এসময় দোকানে বসা জিকুকে আসামী বলে দেখিয়ে দেয় স্থানীয় সোর্স হেলাল। পুলিশ তাকে ধরতে গেলে সে ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পিছু ধাওয়া করে মিনার উদ্দিন জিকুকে নাগালে পেয়ে পুলিশ বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এদৃশ্য দেখে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। তারা পুলিশের সাথে বাকবিতান্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সোর্স হেলালকে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয় লোকজন। এসময় উত্তেজিত জনতার অবস্থা দেখে এবং নিজেদের ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশ চলে আসে। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, মিনার উদ্দিন জিকু নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে ধরতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযানে যাওয়া চকরিয়া থানার এএসআই আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, মিনার উদ্দিন জিকু নামের কাউকে পুলিশ বন্দুকের বাট দিয়ে পেটানো হয়নি। এমনকি হেলাল নামের কোন ব্যক্তি সোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে ছিল না।
অভিযোগ উঠেছে, ওয়ারেন্ট তামিল অভিযানে সাথে দক্ষ অফিসার না থাকায় মাত্র কয়েক মাস পূর্বে কনস্টেবল থেকে এএসআই হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া আবদুর রাজ্জাককে একদল পুলিশ ফোর্স দিয়ে অভিযানে পাঠানোই অনভিজ্ঞতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
You must be logged in to post a comment.