মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কাভার্ড ভ্যানে করে অবৈধ পন্থায় গ্যাস বেচাকেনা হচ্ছে হরদম। আইনকানুন না মেনে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আঞ্চলিক ও মহাসড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে গ্যাস বিক্রয় করা হয় ছোট-বড় বিভিন্ন সিএনজি চালিত গাড়িতে। পাশাপাশি বিভিন্ন ছড়াখাল, পাহাড় কেটে ও মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধ পন্থায় উত্তোলন করা বালু পরিবহণ ও বিকিকিনি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে গ্যাস ও বালু বোঝাই তিনটি গাড়ি জব্দ ও এক চালককে আটক করেছে।
পরে এদিন রাত ৮ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রির দায়ে দুটি কাভার্ড ভ্যানকে এক লক্ষ টাকা করে মোট দুই লক্ষ টাকা এবং মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে ট্রাকে বালু ভর্তি অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং আটক চালক মুচলেখা দিলে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে মুক্তি দেয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা চকরিয়া পৌরশহরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালায়। এসময় সিএনজি গ্যাস পরিবহণ ও প্রকাশ্যে বিক্রির অভিযোগে চালকসহ দুটি কাভার্ড ভ্যান এবং বালু পরিবহণকালে ডুলাহাজারা করেজের সামনে থেকে একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দ করা তিনটি গাড়ি উপজেলা প্রশাসনের হেফজতে ও আটক চালককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশে পার্কিং করে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ট্রাক ও ঝুকি নিয়ে অনুমোদন ছাড়াই গ্যাস পরিবহণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে দুটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। এসময় বালুর ট্রাকের চালককে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমানে আদালতে তারা দোষ স্বীকার করলে তাদের দুই লাখ ৫ হাজার অর্থদন্ড ঘোষণা করা হয়। দন্ডের এই টাকা পরিশোধ ও মুচলেখা দিয়ে চালক মুক্ত ও গাড়িগুলো ছাড়া পায়।
You must be logged in to post a comment.