মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বখাটের হামলায় ৪ ব্যক্তি আহত ও বাড়ির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঢেমুশিয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বখাটের হামলায় আহতরা হলেন- ঢেমুশিয়ার ছয়কুড়িটেইক্কা এলাকার মনির উল্লার ছেলে বদিউল আলম (৪৮), ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আলী হায়দার, আকতার আহমদের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮) ও আলী আহমদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫)।
স্থানীয় মেম্বার মহববত আলী জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ঢেমুশিয়া ছয়কুড়িটেইক্কা দক্ষিণ পাড়া ইউনুছিয়া হাফেজিয়া এতিমখানার বার্ষিক সভা শুরু হয়। সভা উপলক্ষে মাদ্রসা সংলগ্ন মাঠে মেলা বসে। এদিন রাত ৯টার দিকে পাড়ার কিছু যুবতী মেয়ে মেলায় বাজার করতে আসে। এসময় পার্শবর্তী গান্ধিপাড়ার কিছু বখাটে যুবক মেলায় আসা যুবতী মেয়েদের উত্তক্ত্য ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এতে স্থানীয় লোকজন তাদের বাঁধা দেয় এবং মেলা থেকে চলে যেতে বলে। পরে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বখাটে যুবকরা রাতে প্রথম দফা হামলা চালিয়ে এক বিধবা মহিলার বাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনা শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, রাতের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সকাল থেকে গান্ধিপাড়ার আক্কাস আহমদ, ডালিম, হুমায়ুন কবির, মজিউদ্দৌলা ও নজরুলের নেতৃত্বে ১০-১৫জনের বখাটে যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ঢেমুশিয়া বাজারে অবস্থান করে। এদিন বেলা ১১টার দিকে ছয়কুড়িটেইক্কা পাড়ার লোকজন বাজারে আসলে বখাটে যুবকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের বেধড়ক পিটুনিতে ৪ জন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পাড়ার লোকজন দুদিকে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকরিয়া থানার এসআই মহির উদ্দিন খান জানান, ঢেমুশিয়ায় দু’পাড়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.