সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / জরায়ুর টিউমার ও করণীয়

জরায়ুর টিউমার ও করণীয়

https://coxview.com/wp-content/uploads/2021/08/Health-Uterine-Fibrods-.jpg

জরায়ুর টিউমার ও করণীয়

আমাদের দেশের নারীদের প্রজননক্ষম বয়সে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যে টিউমার হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা মায়োমা। জরায়ুর পেশীর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এ টিউমারের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন জানিয়েছেন বিস্তারিত তথ্য ও নানা পরামর্শ।

৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে ২০ শতাংশই এই সমস্যায় আক্রান্ত। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যানসার বা বিপজ্জনক কিছু নয়। তবে দুটো সমস্যার কারণে সুচিকিৎসা দরকার। এক. এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক ও ব্যথা হওয়া এবং তার জন্য রক্তশূন্যতা হতে পারে। দুই. এটিকে বন্ধ্যাত্বের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

উপসর্গ

১। সাধারনত ৭৫% ক্ষেত্রেই কোন উপসর্গ থাকে না।
২। ৩০% মহিলাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয়ে থাকে। প্রতিবার মাসিকেই রক্তস্রাবের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
৩। কোন কোন ক্ষেত্রে দুই মাসিকের মাঝামাঝি সময় রক্ত যেতে পারে।
৪। মাসিকের সময় তলপেটে অতিরিক্ত ব্যাথা হওয়া।
৫। তলপেটে চাকা বা ভারি অনুভব করা।
৬। ৩০% ক্ষেত্রে বাচ্চা না হওয়ার মত সমস্যাও হতে পারে।
৭। জরায়ুতে এই টিউমার থাকা অবস্থায় যারা গর্ভধারণ করে তাদের গর্ভপাত, সময়ের অনেক আগে প্রসব বেদনা হওয়া এবং বাচ্চা ওজনে কম হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে বারবার গর্ভপাত হওয়ার জন্যেও ফাইব্রয়েড দায়ী।
৮। তলপেটে ভীষণ ব্যাথা হওয়া।

এ টিউমার কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড করতে গেলে এটি ধরা পড়ে। টিউমারটির কারণে তলপেটে ব্যথা হয়। এটি আকৃতিতে অনেক বড় হলে অবশ্যই চিকিৎসা প্রয়োজন। সাধারণত ওষুধে চিকিৎসার সুযোগ কম। এরপর আমরা একটি ওষুধ ব্যবহার করি। তবে অবশ্যই রোগীকে আমাদের কাছে আসতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে এগুলো একা একাই জরায়ুর সাথে মিশে যায়।

নরমাল ডেলিভারির পর জরায়ু আগের অবস্থানে আসে কি না— একজন জানতে চেয়েছেন। প্রেগনেন্সিতে নারীদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়। শরীরের সব অঙ্গপ্রতঙ্গে প্রভাব পড়ে। সন্তান প্রসবের পর ধীরে ধীরে জরায়ু জায়গায় ফিরে আসে। কারণ শিশু হওয়ার জন্য জরায়ুমুখ খুলতে হয়। তারপর একটি সময়ে সন্তান প্রসব হবে। এরপর ধীরে ধীরে এটি বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক সময় প্রসবের সময় জরায়ুমুখে ফ্যাকচারড হয় এবং থেকে যায়। তবে এতে অন্য কোনো অসুবিধা হবে না।

 

চিকিত্সা
যদি কোন সমস্যা না হয় তা হলে এই টিউমার এর জন্যে কোন চিকিত্সার দরকার হয়না। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলেও এই টিউমার অপারেশন করা লাগতে পারে যেমনঃ-

* টিউমার এর সাইজ যদি ১২-১৪ সপ্তাহ গর্ভাবস্থা সাইজের সমান হয়।
* সাইজ খুব দ্রুত বাড়তে থাকে।
* টিউমার এর জন্যে যদি বাচ্চা না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* টউমারটি পেটের ভিতরে পেচিয়ে গিয়ে কোন জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে।

১৪ কিংবা ৪০ দিনের মাথায় পিরিয়ড হওয়া মানে এটি অনিয়মিত। নববিবাহিতরা অনিয়মিত কিংবা ইমারজেন্মি পিল খেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। তবে সবার আগে জানতে হবে যে কন্ট্রাসেপশন নিচ্ছে, সেটি ঠিকমতো নেওয়া হচ্ছে কি না। নিয়মিত পিল খেতে হবে।

২১, ২৪ ও ২৮ দিনের পিল আছে। সে অনুযায়ী পিল নিতে হবে। যদি গাইনোকোলজিক্যাল ক্যানসার হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার (অপারেশন) জন্য গাইনিকোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।

 

 

 

সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/09/Health-Decreased-Sexual-Desire.jpg

যে কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ মাত্রই যৌনাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/