সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অধুনা / টুপি তৈরী করে স্বাবলম্বী হচ্ছে ঈদগাঁওর নারীরা

টুপি তৈরী করে স্বাবলম্বী হচ্ছে ঈদগাঁওর নারীরা

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

সুনিপুণ ও নজরকাড়া টুপি তৈরিতে ব্যস্তমুখর দিন পার করছেন ঈদগাঁওর নারীরা। এই কাজ তাদের সংসারে এনে দিয়েছে সচ্ছলতা। গৃহবধূরা সংসারের কাজকর্ম সেরে অবসর সময়ে টুপি তৈরি করে সংসারে বাড়তি আয় করছেন। কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই গ্রামাঞ্চলের নারীদের কাছে এটি পেশায় পরিণত হয়েছে। তাদের হাতে বুনন করা টুপি যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানেই।

টুপির কাজ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হন এখানকার অসংখ্য নারী। তবে সরকারি বা কোন দাতা সংস্থার সহযোগিতা পেলে এই পেশায় আরো নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

ঈদগাঁও উপজেলা ইসলামপুর, ইসলামাবাদ পোকখালী, জালালাবাদ, ঈদগাঁও ইউনিয়ন বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, সংসারের কাজের ফাঁকে নারীরা ও পড়ুয়া মেয়েরা টুপি বানিয়ে ব্যস্ত সময় পার করার। এমন চিত্র বৃহৎ এলাকার নানা গ্রামীন জনপদে। অসৎ কিংবা খারাপ পথে না গিয়ে নিজের হাত দিয়ে কষ্টের মধ্য দিয়ে বুনন করে নানা ডিজাইনের টুপি।

জানা যায়, নির্দিষ্ট নকশার ওপর নানা রঙের সুতায় তারা টুপি বুনে চলেছেন। হাতের শেখায় টুপি তৈরী করতে পেরে তারা বেশ আনন্দিত। নারীদের পাশাপাশি তরুণীরা এ কাজে অনেকটা পারদর্শী।

ঈদগাঁও মাইজপাড়ার এক গৃহবধূ জানান, খুব অল্প বয়সে টুপি বুননের কাজ শুরু করেন। তিনি এ কাজ করে চলছেন বহুদিন ধরে। তিনি ঈদগাঁও বাজার থেকে সুতা এনে টুপি বুনন করে যাচ্ছেন। বুনন শেষে অনেক টুপি বিক্রি করে থাকেন। আকার, ধরন এবং ডিজাইনের উপর দরদাম নির্ধারণ করা হয়। মানানসই হলে ১শত টাকা, না হলে ৭০/৮০ টাকা হিসেবে কিনে নেন ক্রেতারা।

এক টুপি ক্রেতা জানান, বৃহৎ এলাকার পাড়া মহল্লার নারীদের হাতে বুননকৃত টুপি কিনে নেন তিনি। এই কাজে নিজেকে সম্পৃত্ত রেখেছেন দীর্ঘকাল ধরে। নারীদের কাছ থেকে কেনা টুপিসমূহ ভাল ভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চড়া দামে বিক্রিও করেন।

টুপি বিক্রেতারা জানান, নিজেদের উদ্যোগে টুপি বুনিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছি। একটি টুপি বুনতে সময় লাগে ২/৩ সপ্তাহের মত। টুপি বুনে কিছু টাকা আয় করেন তারা।

টুপি তৈরির কাজে যুক্ত হওয়ায় মেয়েরা সংসারে কিছুটা হলেও আর্থিক সাহায্য করতে পারছেন। প্রত্যন্ত গ্রামে এটি হচ্ছে বড় বিষয়। এতেই সংসারে নারীর মর্যাদা বাড়ছে। এ ধরনের কাজের ফলে পরিবার, সমাজসহ দেশও উপকৃত হচ্ছে।

সচেতন মহল জানান, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হলে দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

রামুতে তরমুজের দাম চডা :হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা

  কামাল শিশির; রামু :কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/