গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গারা এখন টেকনাফের পথে পথে। টেকনাফ উপজেলার এমন কোন এলাকা নেই যেখানে রোহিঙ্গাদের বিচরন ও বসতি স্থাপন হয়নি। সকাল বেলা ঘরের দরজা খুললে দেখা মিলে রোহিঙ্গা নারীদের আনাগোনা। এদের মধ্যে অনেকে সন্তান হারা, অনেকে হারিয়েছে স্বামী সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন সবাইকে। এইভাবে প্রতিদিন মানুষের ঘরে ঘরে, হাটে-বাজারে ও বিভিন্ন মার্কেটের সামনে একটু সাহার্য্যরে আশায় ঘুরছে টেকনাফ উপজেলার অলিতে-গলিতে। এই রোহিঙ্গরা নির্যাতিত বলেই অনেকে মানবিক কারনে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছে। অথচ এই রোহিঙ্গারাই আবার বেশি সুযোগ পেলে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
টেকনাফ উপজেলায় এমন কোন অপরাধ নেই যে সমস্ত অপরাধে রোহিঙ্গারা জড়িত নেই। এই এলাকায় মানুষ হত্যা, মাদক ব্যবসা, মাদক পাচার, নারী ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, পতিতা ব্যবসাসহ সমস্ত অপরাধের পিছনে অসাধু রোহিঙ্গারা সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছে। তবে তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে আসা সাবেক রোহিঙ্গারা। কারণ বর্তমানে তারা এই দেশের প্রভাবশালী নিবন্ধিত নাগরিক।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, এইভাবে রোহিঙ্গাদেরকে লোকালয়ে ঘুরাফেরার সুযোগ দিলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে। স্থানীয়দের শ্রম বাজার চলে যাবে রোহিঙ্গাদের দখলে। তাই আমাদের দাবি রোহিঙ্গা প্রতিরোধে যে আইন রয়েছে তা ভাল ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তার পাশাপাশি মানবিক কারনে হলেও এই রোহিঙ্গাদেরকে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আবদ্ধ করে রাখতে হবে।
এদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও প্রতিরোধ করতে সীমান্ত এলাকায় দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, মিয়ানমারে লাগাতার সহিংসতায় পালিয়ে আসা শত শত রোহিঙ্গা বোঝাই বেশ কয়েকটি নৌকা আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইনদের মধ্যে সাম্প্রাদায়ীক হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে লাগাতার সহিংসতা, বাড়িঘরে আগুন, গণহারে মানুষ হত্যা, শিশু হত্যা ও নারী ধর্ষণ। এই সমস্ত ঘটনাকে পুজি করে প্রায় ৩ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
You must be logged in to post a comment.