ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশনে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, করোনা শনাক্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের ১০ দিনের আইসোলেশনে যেতে হয়। কিন্তু বরিস জনসন ও ঋষি সুনাক এই নিয়মের বাইরে নিজেদের অফিস থেকে পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এরপর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন উভয়ে। পরে সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
দেশটির বিরোধী দলগুলোও বলছে যে এক দেশে দুটি নিয়ম থাকতে পারে না। আইন সবার জন্যই সমান। করোনা আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে আসলে যে আইনে সাধারণ মানুষদের কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে, সে আইনে প্রধানমন্ত্রীকেও কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে।
রয়টার্স বলছে, সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী উভয়ে সেলফ আইসোলেশনে থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা বাড়ি থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
বরিস জনসন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা পাইলট স্কিমে অংশ নেওয়ার ধারণাটি সংক্ষিপ্ত করেছি। আমি মনে করি সবার জন্য একই নিয়ম থাকা উচিত।’ এই নিয়মেই আগামী ২৬ জুলাই পর্য়ন্ত আইসোলেশনে যাওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েও করোনা আক্রান্ত হন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। গতকাল শনিবার তার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি নিজেই এক টুইটে জানান, গত শুক্রবার রাতে অস্বস্তি অনুভব করায় করোনার র্যাপিড টেস্ট করান তিনি। এতে তার করোনা পজিটিভ এসেছে। পিসিআর টেস্টের ফল আসার আগ পর্যন্ত বাসায় আইসোলেশনে থাকবেন তিনি।
সূত্র: deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.