মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
জরাজীর্ণ ভবন, গাড়ি সংকট, সরঞ্জাম (কম্পিউটার, ফটোকপি) স্বল্পতা, বিশুদ্ধ পানি সংকট, খানাখন্দ পরিপূর্ণ প্রবেশ রাস্তা ও আসবাবপত্র স্বল্পতা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে লামা থানা। বান্দরবান পার্বত্য জেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা লামা।
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে লামা থানাকে মহকুমায় রুপান্তর করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল লামা উপজেলা। বর্তমান লামা থানার ভবনটি লামা উপজেলার প্রথম দিকের ভবনের একটি। বরাদ্দ না থাকায় নিয়মিত সংস্কারের অভাবে বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনটি। যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। পাশাপাশি সরকারী হিসাব মত লামা থানায় ১টি পিকআপ ভ্যান ও ১টি মোটর সাইকেল রয়েছে। পিকআপ ভ্যানটি কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চললেও মোটর সাইকেলটি নষ্ট হয়ে আছে। নিয়মিত রোড টহল, নানান পুলিশি অভিযান সহ জরুরী কাজে ভাড়ায় চালিত গাড়ি ব্যবহার করতে হয়। সময়মত গাড়ি না পেয়ে অনেক সময় পড়তে হয় ভূগান্তিতে।
থানা ঘুরে দেখা যায়, বিচার প্রার্থী, মামলার বাদী বিবাদি, জনসাধারণ বিভিন্ন কাজে থানায় আসলে ফার্নিসারের অভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বর্তমানে লামা থানায় অফিসার ইনচার্জ ১জন, ওসি তদন্ত ১, এসআই ৫, এএসআই ৪ ও ৪৫ জন কনেষ্টবল রয়েছে। আসবার পত্রের সংকটের কারণে অনেক অফিসারকে দাঁড়িয়ে বা একই টেবিলে একাধিক অফিসার বসে নিত্যদিনের কাজ করতে হয়।
এবিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন এ প্রতিবেদককে জানায়, সমস্যা সমাধানে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে লিখা হয়েছে। আশা করি অতি শীঘ্রই সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, গাড়ি সংকট সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এর মাধ্যম দিয়ে স্ব-রাষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখা হয়েছে। দ্রুত লামা ও আলীকদম থানার জন্য ২টি গাড়ি বরাদ্দ পাচ্ছি আমরা। লামা থানায় আধুনিক মানে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে। চলতি অর্থবছরে থানা ভবনের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আধুনিক ভবন নির্মাণ হলে ছোটখাট অন্যান্য সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যাবে।
You must be logged in to post a comment.