এম.আবদুল্লাহ আনসারী, পেকুয়া :
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নে সন্ত্রাসীরা স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে জমি জবর করতে গেলে এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শিলখালী ইউনিয়নের মাঝের ঘোনা এলাকার মৃত দেলোয়ার হোছাইনের ছেলে মোজাম্মেল হকের ক্রয় সূত্রে মালিকানাধীন প্রায় ১৭শতক জমি জবর দখল করতে জমির পার্শ্ববর্তী একই ইউনিয়নের এতিমখানা ছৈয়দনগর এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে প্রভাবশালী নুরুন্নবী, নুরুল ইসলাম, মুন্সীমোড়া এলাকার নুর আহমদের ছেলে সন্ত্রাসী আলী হোছাইন, লালমিয়া, রেনু বেগম, লায়লাবেগম সহ বহিরাগত অজ্ঞাত ১০/১২জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ২৪আগষ্ট সকাল ৮টায় জমির মালিক মোজাম্মেল হকের ওপর হামলা চালালে মোজাম্মেল হক জমির শ্রমিকদের নিয়ে দ্রুত নিরাপদে আশ্রয় নেয়। এসময় সন্ত্রাসীদের স্বশস্ত্র মহড়ায় পুরো এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। স্থানীয় লোকজন বলেন, মোজাম্মেল একটু দুরের লোক হওয়াতে নুরুন্নবী গং তাদের বাড়ীর পাশের জমিতে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় জমিটি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মহড়া সৃষ্টি করেছে।
জমির মালিক মোজাম্মেল হক বলেন, জনৈক আবদুল গফুর থেকে তার দখলীয় জমি ক্রয় করেছি, নুরুন্নবী গং বিনা কারণে অন্যায় ভাবে তার ক্রয়কৃত জমি জবর করতে স্বশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। বর্তমানে তারা আমার চলাফেরা বন্ধ করে দিয়ে জমি থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করতে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
এব্যাপারে শিলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নুরুল হোছাইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি স্বশস্ত্র মহড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জায়গাটির মালিকানা বিরোধ নিয়ে তার কার্যালয়ে বিচার দায়ের করা হলে আবদুল গফুর জমির স্বত্ব মালিকানা লাভ করে পরে নুরুন্নবী গং গফুরকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়। এখন হয়ত ভিন্নলোকের কাছে জমি বিক্রি করায় এ বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে নুরুন্নবী গং নিজেরা সন্ত্রাসী মহড়া দিয়ে থানায় মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.