এস.এম ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে পাহাড় কেটে পাকা বসতি নির্মান চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও। এসময় তিনি বসতি নির্মাণে ব্যবহৃত মালামাল সামগ্রী জব্দ করে পুলিশি হেফাজতে দেন। ১৪জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুর রশিদ খান স্থানীয় বন বিভাগ ও সংবাদকর্মীদের সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া থানার একদল পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকায় বেশ কয়জন প্রভাবশালী স্থানীয় সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে পাহাড় কেটে মাটি বালি পাঁচারের পাশাপাশি পাকা দালান বসতি গড়ে তুলছিলেন। এঘটনায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, বন বিভাগ, গ্রাম পরিষদ, সাংবাদিক সমাজ ও নেতৃস্থানীয়রা ঘটনায় জড়িতদের বাঁধা দান, হুশিয়ারী জানিয়ে একাধিক মামলাও দায়ের করে। কিন্তু তবুও থেমে ছিলনা পাহাড়খেকো, বনের অমূল্য খনিজ সম্পদ বালি মাটি পাঁচার বাণিজ্য সহ পাকা বসতি নির্মাণ চেষ্টা। এক পর্যায়ে ঘটনায় জড়িতরা বেপরোয়া হয়ে ঝোঁপ বুঝে কোপ মারার মতো তাদের গোপন অপকর্ম অব্যাহত রাখে। এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মাই টিভি’র কক্সবাজার উত্তর প্রতিনিধি সাংবাদিক মনির আহমদের নেতৃত্বে একদল গণমাধ্যমকর্মী সরোজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ও বিভিন্ন তথ্য চিত্র সংগ্রহে নিয়ে বনবিভাগ ও স্থানীয় ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের সাথে সাক্ষাত করে ঘটনার সবিস্তার বর্ণনা তুলে ধরেন। এসময় পেকুয়ার ইউএনও ও ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুর রশিদ খান পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার কাছে পুলিশি সহযোগিতার অনুরোধ জানান। পরে, পেকুয়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুর রশিদ খান পেকুয়া থানার এ.এস.আই মোঃ জুয়েলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিয়ে অভিযান পরিচালনায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান। অভিযান পরিচালনাকারীদলের উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড় কেটে বালি মাটি পাঁচার ও পাকা বসতি নির্মাণে জড়িতরা পালিয়ে যান।
অভিযানকালে ইউএনও ও পুলিশ পাকা বসতি নির্মানে ব্যবহারে স্তুপ করা মালামালগুলো জব্দ করে পুলিশি হেফাজতে সৌপর্দ্দ করেন। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে তথ্য জানতে ইউএনও’র সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে পেকুয়ার ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড় কাটা, বনের খনিজ সম্পদ লুট, পাঁচার, সংরক্ষিত সরকারী সম্পদভুক্ত জায়গায় জবর দখল বা কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবেনা। বন ও পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন।
You must be logged in to post a comment.