মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচনে প্রচারণা নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ঘেরা-বেড়া ভাংচুর ও হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মগনামা ইউনিয়নে মুহুরী পাড়া স্টেশনে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী শরাফত উল্লাহ ও আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল এনামের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মগনামার কাজীর মার্কেট এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপি প্রার্থী শরাফত উল্লাহ মহুরীপাড়া স্টেশনে যান। এ সময় তার সমর্থকরা মহুরীপাড়া স্টেশনের একটি দোকানের টিনের চালা খুলে ফেলে এবং আওয়ামীলীগ প্রার্থী খাইরুল এনামের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে। এ ঘটনায় খাইরুল এনামের সমর্থকরা ধাওয়া দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দু’পক্ষের পাঁচজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বিএনপি প্রার্থীর ভাই এনায়েত উল্লাহ (৩০), মো: আমির (২২), আবদুল খালেকসহ (৫০) পাঁচজন আহত হয়। তাদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা শুনে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফুর রশিদ খাঁন ও পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির প্রার্থী শরাফত উল্লাহ হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খাইরুল এনাম ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন। শরাফত উল্লাহ দাবি করেন, আওয়ামীলীগের প্রার্থী খাইরুল এনামের নেতৃত্বে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তার ১৪ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তাকে ও তাঁর কর্মীদের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল এনাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি প্রার্থীর মিছিল থেকে প্রথমে দোকানে ও আমার বাড়িতে এবং পরে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কাউকে মারধর করা হয়নি।
You must be logged in to post a comment.