সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি ভাসান চরে স্থানান্তরের দাবি : রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে স্থানীয়রা

প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি ভাসান চরে স্থানান্তরের দাবি : রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে স্থানীয়রা


হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর আপত্তি সত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কাজ গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় চুড়ান্ত করে এনেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে মিয়ানমারে অনুকুল পরিবেশ না থাকার অজুহাতে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তার অভাবসহ নানা কারণে কখন প্রত্যাবাসন শুরু হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) শামীমুল হক পাবেলসহ সাত ক্যাম্প ইনচার্জকে বদলি করা হয়। মানবিক কারণে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে যে সহাবস্থান ছিল তা ধীরে ধীরে লোপ পেতে শুরু করেছে। বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে স্থানীয় যুবকের খুনের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়রা।

উখিয়ার সচেতন মহল মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি নোয়াখালীর ভাসানচরে নিরাপত্তা বেষ্টনির মাঝে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের স্থানান্তরের দাবি জানান। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নেতা ও পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আজ আমরা শঙ্কিত অবস্থায় আছি। মিয়ানমারে পুনর্বাসিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আবাসস্থল আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় অধিবাসীদের সংখ্যা যেখানে ৫ লাখ ৭ হাজার, সেখানে নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এই এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি এবং পর্যটন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। এসব প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কাছে মেঘনার মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসান চরে সরিতে নিতে পরিকল্পনা করে সরকার। তবে এতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে দাবি অ্যামনেষ্টির দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বিরাজ পাটনায়েকের। ভাসান চর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হলে তাদের জন্য সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বিষয়টি কঠিন হবে বলেও তিনি বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আ্যামনেস্টি।

রোহিঙ্গা নেতা শফিক বলেন, প্রাথমিক দলে প্রত্যাবাসনের জন্য যাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল তাদের অনেকেই যেতে আগ্রহী না। তারা ভরসা পাচ্ছে না। রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের ফেরৎ পাঠালে তাদের জীবন ফের ঝুঁকিতে পড়বে।

স্থানীয় কুতুপালং এলাকার জনপ্রতিনিধি বকতিয়ার আহমদ বলেন, রোহিঙ্গারা মানব পাচার, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তারা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনাখুনির ঘটনা ঘটাতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করে না। আমরা স্থানীয়রা তাদের কারণে এক প্রকার অস্বস্থিকর জিম্মিদশায় মারাত্মক অশান্তিতে আছি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/06/Rohingya-Camp-coxs-bazar-8.jpg

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও গোলাগুলিত : নিহত ১

নিজস্ব প্রতিনিধি; উখিয়া : কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/