সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / বঙ্গোপসাগরে মাছের অকাল : জেলেদের মাথায় হাত : লাভবান হচ্ছে মজুদদার

বঙ্গোপসাগরে মাছের অকাল : জেলেদের মাথায় হাত : লাভবান হচ্ছে মজুদদার

Ajit_Himu - 22-8-2015 (News & Pic) (Fihsing Boot)অজিত কুমার দাশ হিমু :

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জেলেদের উপর জলদস্যুর হামলা ও প্রকৃতির বিরুপ আচরণের কারণে সাগরে দেখা দিয়েছে মাছের অকাল। ফলে কয়েকদিন যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসছে। এতে করে জেলেদের মাথায় হাত। তাই স্থানীয় বাজারে মাছের দাম উর্ধ্বগতি। এতে লাভবান হচ্ছে মজুদদাররা।

কক্সবাজার শহরের ফিশারী ঘাট ও মাঝের ঘাটসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সহস্রাধিক ফিশিং বোট নোঙ্গর করে আছে। এত করে বিরাজ করছে বোট মালিকদের মাঝে চরম হতাশা।

তাছাড়া কিছুদিন আগে কুতুবদিয়া সমুদ্র উপকূলের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোট লুট-পাটসহ মাঝি-মাল­াদের উপর সশস্ত্র জলদস্যুদের হামলার কারণে, জেলেদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মাঝি-মাল্লারা পড়ে গেছে চরম বেকায়দায়।

জেলেরা জানান, একদিকে জলদস্যুর উৎপাত অপরদিকে প্রকৃতির বিরুপ আচরণের কারণে সাগরে মাছ ধরা যাচ্ছে না। যার কারণে বাজারে মাছ সরবরাহ কমে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সুবিধা ভোগী মাছ বিক্রিতারা বাড়িয়ে দিয়েছে মজুদকৃত মাছের দাম।

ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক জানান, সাগরে ব্যাপকহারে ট্রলিং জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাদার ফিশসহ ব্যাপকহারে ঝাটকা নিধন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা কুতুুবদিয়া, মহেশখালি, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া, কক্সবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন ৪ হাজার ছোট-বড় ফিশিং বোট জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে যায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে। এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা। সাগরে মাছ শিকারের পর এরা ফিরে আসে কক্সবাজার শহরের বাণিজ্যিক জোন খ্যাত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারি ঘাট, মাঝির ঘাটসহ কয়েকটি পল্টন এলাকায়। মৌসুমে শতশত বোট এখানে নোঙ্গর করে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রি করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে ওইসব এলাকায় দেখা দিয়েছে মাছের জন্য হাঁহাকার।

তবে সরেজমিনে ফিশারি ঘাটের কয়েকজন জেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবৎ ব্যস্ততম এই ফিশারিঘাটে আগের মত মাছ ব্যবসায়ী কিংবা জেলেদের কোলাহল নেই বললেই চলে।

তাছাড়া মাছ ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ও লক্ষ্য করা যায়নি। মৎস্য লোড আনলোড শ্রমিক নেতা আসাদুল হক, শাখাওয়াত হোসেন সবুজ জানান, কিছুদিন যাবৎ সাগরে মাছের আকাল দেখা দেওয়ার কারণে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছ উঠা নামার কাজ বন্ধ থাকায় মৎস্য শ্রমিকরাও পড়েছেন মহাবিপাকে। হাজার হাজার শ্রমিক ও জেলে বেকার হয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। মাঝি-মাল্লাসহ শ্রমিকদের বিমর্ষ চেহারা আর বোট মালিকদের হতাশায় জেলে পল্লী সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিরাজ করছে নিরব দূর্ভিক্ষ।

শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় সামুদ্রীক মাছের সংখ্যা অনেক কম। যা আছে তাও আবার সাধারন ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

মাছ ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন, আবুল কাসেম, শফি সহ অনেক মাছ ব্যবসায়ী জানান, সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া ফিশিং বোট গুলোর একদিকে জলদস্যু আতংক ও প্রাকৃতিক বিরুপ আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ কমে যাওয়ার ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়ায় মাছের দাম আকাশচুম্বি। মৎস্যজীবিদের দাবী সাগরে জলদস্যুদের দমনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের টহল আরও বাড়ানো জরুরী।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/