হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া :
উখিয়ার কুতুপালং বস্তিতে বনকর্মীরা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় প্রায় অর্ধশতাধিক ঝুঁপড়িঘর ভাংচুর শুরু করলে রোহিঙ্গারা বাঁধা দেয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে বনকর্মীরা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এতে উত্তেজিত রোহিঙ্গারা তাদের ধাওয়া করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ৫ জন বনকর্মী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়।
উখিয়া সদর বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বেলা ১১ টার দিকে ২০/২৫ জন বনকর্মীর একটি দল কুতুপালং বস্তির দক্ষিণে নতুন করে গড়ে তোলা প্রায় অর্ধশতাধিক ঝুঁপড়িঘর ভাংচুর শুরু করে। উচ্ছেদ অভিযানে রোহিঙ্গারা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বনকর্মীরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এসময় উত্তেজিত শত শত রোহিঙ্গা নারী পুরুষ বনকর্মীদের ধাওয়া করে নির্বিচারে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনাস্থলে থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, উখিয়ার ঘাট বনবিট কর্মকর্তা মাসুদ সরকার, বন প্রহরী তরিকুল ইসলাম, বনকর্মী মোঃ শাহজাহান রিপন রোহিঙ্গাদের ছুড়ে মারা ইটের গুড়া ও ঢিলের আঘাতে আহত হয়। এর আগে গত বুধবার বনকর্মীরা একই কায়দায় অভিযান চালিয়ে ৮০টি ঝুঁপড়িঘর ভাংচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গানারী আমেনা (৪৫), মরিয়ম খাতুন (৪০)সহ একাধিক রোহিঙ্গা অভিযোগ করে জানায়, তারা দান খয়রাতের টাকা দিয়ে বাঁশ, গাছ, পলিথিন ক্রয় করে রাত যাপনের জন্য ঝুঁপড়ি নির্মাণ করেছে।
বনকর্মীরা উচ্ছেদের নামে ভাংচুর না করে তাদের উপকরণ গুলো কেটে তচনছ করে দেয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এঘটনায় থাইংখালী বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করেছে।
You must be logged in to post a comment.