সীমা চন্দ্র নম; কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া সিএনজি থেকে শাসনগাছা যাওয়া-আসা সিএনজির রেইট ভাড়া চল্লিশ টাকা। কিন্তু চালকরা কোনো কারন ছাড়া পঞ্চাশ টাকা থেকে ষাট টাকা ভাড়া আদায় করে। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে এই ভাড়া আদায় করে।
প্রতিদিন সকালে ভাড়া রাখে ৪০ টাকা বিকেল হলে ভাড়া রাখে ৫০ টাকা। সন্ধ্যা হলে ভাড়া রাখে ৮০ টাকা। রাত আটটার পর থেকে ভাড়া রাখে ১০০ টাকা। যাত্রীরা টাকা দিতে পারুক আর না পারুক চালকদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এই দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করাটা চাঁদাবাজির চেয়ে কম নয়। এই দ্বিগুণ ভাড়া আদায় চালকদের নিত্যদিনের পেশা হয়ে উঠেছে। হরতাল এবং ঈদের সময় এই ভাড়া আদায় করা যায়। হরতাল এবং ঈদে এই ভাড়া দিতে যাত্রীদের তেমন গায়ে লাগে না। সকালে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে শাসনগাছা যাওয়া-আসা যে গ্যাস ব্যায় হয়, রাতেও ব্রাহ্মণপাড়া থেকে শাসনগাছা সেই একই গ্যাস ব্যয় হয়।
যাত্রীরা সিএনজি চালকদের ‘ডাকাত’ উপাধি দিয়ে থাকে। যদিও শাসনগাছা থেকে মিরপুর পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়। বাস দিয়ে আসা-যাওয়া ভাড়া কম, কিন্তু পুরো গাড়ি ভর্তি না হওয়া পযর্ন্ত বাস ছাড়ে না। বিশ থেকে চল্লিশ মিনিট যাত্রীরা বাসে বসে থাকতে হয়। এই দীর্ঘ সময় বসে থাকতে থাকতে যাত্রীরা বিরক্তিবোধ করে। আবার অনেক সময় যাত্রীদের জরুরি কাজ থাকে। দ্রুত যে মাধ্যমে যাওয়া যায় সে মাধ্যম গ্রহন যাত্রীরা গ্রহন করেন।
সিএনজি দিয়ে আসা-যাওয়া যায়, তাই যাত্রীরা সিএনজি দিয়ে যেতে চাই। কিন্তু প্রশাসনের কাছে যাত্রীদের একটাই দাবী সঠিক ভাড়া যাতে রাখে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।
You must be logged in to post a comment.