মিশরের এক আইনপ্রণেতা বলেছেন, তার দেশের অর্ধেক পুরুষই নপুংসক। গত সপ্তাহে নারীদের খৎনা বন্ধে পাস হওয়া কঠোর আইনের সমালোচনা করার সময় তিনি এ কথা বলেছেন।
সম্প্রতি জোরপূর্বক খৎনা করানোর সময় মিশরে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এর জের ধরে দেশটিতে নারীদের খৎনার বিরুদ্ধে কঠোর আইন করা হয়। নতুন আইনে জোর করে খৎনা করালে কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন আইনের বিরোধিতা করে আইনপ্রণেতা ইলহামি আগিনা বলেন, যৌন চাহিদা কমাতে এবং মিশরীয় পুরুষদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতেই নারীদের খৎনা করানো হয়।
তিনি বলেন, ‘এটা বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার ফল। ৫০ শতাংশ মিশরীয় পুরুষ যৌনমিলনে অক্ষম। এটা এক ধরণের রোগ। আমরা যদি নারীদের খৎনা করানো বন্ধ করে দেই, তাহলে আমাদের সমর্থ্যবান পুরুষ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের মধ্যে এ ধরণের পুরুষ নাই।’
২০০৮ সালে মিশরে নারীদের খৎনা করানো অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও এটি থেমে নেই। ইউনিসেফের হিসেবে দেশটিতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৮৭ শতাংশ নারীর খৎনা করা হতো। তবে ১৯৮৫ সালের পর থেকে এ হার কমতে শুরু করেছে।
সূত্র:risingbd.com, ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.