সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / যেসব নারীর স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি!

যেসব নারীর স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি!

https://coxview.com/wp-content/uploads/2021/09/cancer-.jpg

কবিতা আক্তার :
নারীদের জন্য জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার খুবই ভয়াবহ একটি রোগ। বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর অন্তত ১০ লাখ নারী স্তন এবং জরায়ু মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়৷ আর প্রতি বছর এই দু’টি রোগে আক্রান্ত নারীদের দুই তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়৷ বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে এই মৃত্যু হার আরও বেশি। সম্প্রতি সুইডেনের লোন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য জানা গেছে। গবেষণা তথ্যটি সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ ইন ফিলাডেলফিয়াতে উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার তথ্য থেকে জানা গেছে, গবেষকরা ২৫ বছর ধরে প্রায় ২৯ হাজার নারীর ওপর এ গবেষণা চালিয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষণ এর আওতায় রাখা হয়েছিল বয়স ২৫-৬৪ বছরের নারীদের। তারা অবশ্য শুরুতে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন না। গবেষকরা নারীদের তিনটি ভাগে বিভক্ত করে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রথম ভাগে ছিলেন, যেসব নারী অফিসে কাজ করেন কিন্তু কোন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন না। আর দ্বিতীয় ভাগে ছিলেন যারা অফিসে কাজ করেন না এবং বিনোদনের জন্য খেলাধুলা অংশগ্রহণ করেন এবং তৃতীয় ধাপে ছিলেন ঐসব কর্মজীবী নারী, যাদের কর্মের প্রয়োজনে বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হয় এবং খেলাধুলাতেও অংশগ্রহণ করেন।

https://coxview.com/wp-content/uploads/2016/11/Brest-1.jpg

দীর্ঘ এ গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী কর্ম ক্ষেত্রে কিংবা অবসর সময়ে সারাক্ষণ বসেই কাটান, তারা কর্মক্ষেত্রের সারাক্ষণ বসে না থাকা নারীর তুলনায় ২.৪ শতাংশ স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ‌ঋতুচক্র বন্ধের আগেই স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তারা। গবেষকরা কর্মজীবী নারীদের সারাক্ষণ বসে না থেকে ছোট ছোট কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন কফি খাওয়া কিংবা একটু হাঁটাহাঁটি করা। যেসব নারীর স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি!

নারীদের জন্য জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার খুবই ভয়াবহ একটি রোগ। ব্যয়বহুল এই রোগে বিশ্বে প্রতিবছর অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন। যেসব নারী কর্মক্ষেত্র ও বাড়ীতে বেশীরভাগ সময় বসে কাটানো। তাদের জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সম্প্রতি সুইডেনের লোন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ‍্য জানা গেছে।

গবেষণা তথ্যটি সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ ইন ফিলাডেলফিয়া তে উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার তথ্য থেকে জানা গেছে, গবেষকরা ২৫ বছর ধরে প্রায় ২৯ হাজার নারীর ওপর এ গবেষণা চালিয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষণ এর আওতায় রাখা হয়েছিল বয়স ২৫-৬৪ বছরের নারীদের। তারা অবশ্য শুরুতে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন না।

গবেষকরা নারীদের তিনটি ভাগে বিভক্ত করে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রথম ভাগে ছিলেন, যেসব নারী অফিসে কাজ করেন কিন্তু কোন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন না। আর দ্বিতীয় ভাগে ছিলেন যারা অফিসে কাজ করেন না এবং বিনোদনের জন্য খেলাধুলা অংশগ্রহণ করেন এবং তৃতীয় ধাপে ছিলেন ঐসব কর্মজীবী নারী, যাদের কর্মের প্রয়োজনে বেশিক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে হয় এবং খেলাধুলাতেও অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ এ গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী কর্ম ক্ষেত্রে কিংবা অবসর সময়ে সারাক্ষণ বসেই কাটান, তারা কর্মক্ষেত্রের সারাক্ষণ বসে না থাকা নারীর তুলনায় ২.৪ শতাংশ স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ‌

https://coxview.com/wp-content/uploads/2019/09/Health-cervical-cancer.jpg

ঋতুচক্র বন্ধের আগেই স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তারা। গবেষকরা কর্মজীবী নারীদের সারাক্ষণ বসে না থেকে ছোট ছোট কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন কফি খাওয়া কিংবা একটু হাঁটাহাঁটি করা।

স্তনে চাকা নিয়ে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় সব রোগীর রোগ শনাক্ত হয়। চাকা অনুভূত হলে ক্যানসার ভেবে আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক। আবার ৮০ শতাংশ চাকাই ক্যানসার নয়। স্তনে বিভিন্ন কারণে চাকা হয়। যেমন ফাইব্রোএডনোমা, ফাইব্রোসিস্টিক চাকা, ইন্ট্রাডাক্টাল পেপিলোমা, চর্বি জমে যাওয়া, ফোঁড়া এবং ক্যানসার। স্তন ক্যানসারের চাকা হঠাৎ করে বেড়ে ওঠে না। খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ : ১) অল্প অল্প বা বেশি জ্বর হওয়া, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, ২) স্বাভাবিকের চাইতে বা অতীতের চাইতে ক্ষুধা কমে যাওয়া, ৩) শরীরের যে কোনও জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া। কখনও এই চাকায় ব্যাথা হতে পারে, কখনও ব্যাথা নাও হতে পারে, ৪) দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকা, কোনও কিছুতেই না সারা। কিংবা অনেকদিন যাবত গলা ভাঙ্গা থাকা, ৫) মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন আসা। ঘন ঘন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া, ৬) বিনা কারণেই খুব ক্লান্ত বোধ করা, ৭) অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া, ৮) কোথাও কেটে গেলে অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া এবং রক্তপাত বন্ধ হতে না চাওয়া, ৯) ত্বকের ওপরে কোথাও দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাওয়া। কোনও তিলন বা অন্য কোনও কিছুর আকার বা চেহারা পরিবর্তন, ১০) স্তনে ব্যথা হওয়া, কিংবা পুঁজ বের হওয়া, ১১) দীর্ঘদিন যাবত প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকা। ক্রমশ ব্যথার পরিমাণ বাড়তে থাকা, ১২) ক্ষতস্থান শুকাতে না চাওয়া।

এই লক্ষণ গুলোর মাঝে এক বা একাধিক লক্ষণ চোখে পড়া মাত্র ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। মোটেও অবহেলা করবেন না। এক মুহূর্তের অবহেলা হয়ে উঠতে পারে আপনার জীবননাশের কারণ।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/09/Health-Decreased-Sexual-Desire.jpg

যে কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে

অনলাইন ডেস্ক : মানুষ মাত্রই যৌনাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন পুরুষের যৌনাকাঙ্ক্ষা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/