কামাল শিশির; রামু :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোয়াজ্জেম মোর্শেদ একটি কেন্দ্র ছাড়া কোনো কেন্দ্রেই পাশ করেননি। তিনি হেরেছেন ৯ কেন্দ্রের ৮টি ভোট কেন্দ্রেই। কয়েকটি কেন্দ্রে মোয়াজ্জেমের কোনো এজেন্টই আসেননি। ঘোষিত ফলাফলে তিনি হয়েছেন তৃতীয়।
এই পরাজয়ের জন্য দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও তিনি নিজেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন।
বৃহস্পতিবার (১১নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়ন থেকে ৩ হাজার ৯শ ৯৯ নিরানব্বই ভোট পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি শাহ আলম, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হান্নান ছিদ্দিকী (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৯শ ২৪ চব্বিশ ভোট, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোয়াজ্জেম মোরশেদ পেয়েছে ৮৫৪ ভোট।
নৌকার প্রার্থী মোয়াজ্জেম ৯নং কেন্দ্রে পেয়েছেন মাত্র ০৫ ভোট। এ কেন্দ্রে তার এজেন্টই আসেননি। তাছাড়া ১নং কেন্দ্রে পেয়েছে ৪৬ ভোট, ২নং কেন্দ্রে ২৪৬, ৩নং কেন্দ্রে ২০ ভোট, নিজ কেন্দ্র ৪নং কেন্দ্রে পেয়েছে ৩৬৪ ভোট, অন্য দুই প্রার্থী এমডি শাহ আলম পেয়েছে ২৩২, হান্নান ছিদ্দিকী পেয়েছে ২৫২ ভোট। ৫নং কেন্দ্রে পেয়েছে ১১৯ ভোট, ৬নং কেন্দ্রে পেয়েছে ১৫ ভোট, ৭নং কেন্দ্রে পেয়েছে ১৪ ভোট, ৮নং কেন্দ্রে পেয়েছে মাত্র ৮ ভোট।
সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে ৯নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ৫ ভোট। কেন্দ্রভিত্তিক ৯টি ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় এই চিত্র।
নৌকা প্রতীকের এমন পরাজয়ের পরপর দলীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগকে দায়ী করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজল আহমেদ বাবুল বলেন, ‘নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি; কোনো ত্রুটি ছিল না। স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী বিদ্রোহীর পক্ষে যাওয়াতে ক্ষতি হয়েছে।’
You must be logged in to post a comment.