Home / প্রচ্ছদ / রামুতে শিক্ষকের এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার

রামুতে শিক্ষকের এক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার

pradan shikkhok ramuনিজস্ব প্রতিনিধি, রামু:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

সম্প্রতি এক ছাত্রীকে ওই প্রধান শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেন। এমনই অভিযোগ করলেন বিদ্যালয়ের ৩ সহকারী শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

সাতঘরিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকের উল্লাহ জানান, ১০ আগষ্ট দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার দিন ছিলো। এতে বিদ্যালয়ের ৩৫৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়।

এদিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না আসায় এবং পরীক্ষা উপকরণ বুঝিয়ে না দেওয়ায় ছেলে-মেয়েরা সীলবিহীন উত্তরপত্রে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয়। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া পরীক্ষার ফি’র টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ করেন এ সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজুল ইসলাম জানান, ভৌতিক পরিবেশ ও অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাতঘরিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছে। প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন কোমলমতি ছাত্রীদেরকে যৌন নিপীড়ন করলেও এখানকার মানুষ কিছুই বলেনি।

তিনি বলেন, ২৪ জুলাই এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার করে উক্ত শিক্ষক। এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগ দেওয়া হয়।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা অলি আহাম্মদ জানান, ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ হয়। এরপর থেকে সরকারী ভাবে বরাদ্দ আসলেও নানা অজুহাতে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের বছরের প্রথম দিনে সরকারী ভাবে প্রদত্ত বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বই বিতরণ করেও প্রতিজন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে ২০ টাকা করে আদায় করা হয়।

যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর মামা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তার ভাগনিকে ফুসলিয়ে স্কুলে নিয়ে আসে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। একপর্যায়ে ভাগনিকে প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি বাদী পক্ষকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। তবে বাদীপক্ষ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামুকে নির্দেশ দিয়েছি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছারের বক্তব্য নেওয়া জন্য কল করা হলে তাঁর ছেলে ফোন রিসিভ করে বাবা বাসায় নেই বলে জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/