মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালীতে ৩য় শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ইউনিয়নের দক্ষিণ হায়দারনাসী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অপরদিকে ধর্ষককে বাঁচাতে মঙ্গলবার রাত ৯টায় গোপন সালিশের আয়োজন করেছে স্থানীয় গ্রাম্য সালিশদাররা। ধর্ষক মোঃ রেজাউল (২৬) একই এলাকার মোঃ ইসহাক বৈদ্যের ছেলে।
মেয়ের বাবা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পাহাড়ে গরু আনতে যায় তার মেয়ে। এসময় সেখানে ঔৎ পেতে থাকা রেজাউল তার মেয়ের গায়ের জামা-কাপড় খুলে ফেলে। মেয়েটি ভয়ে ও নিজেকে রক্ষায় চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী মোঃ ইউনুচ (২০) নামে একজন এগিয়ে আসে। ইউনুচ আসতে দেখে ধর্ষক পালিয়ে যায়। মেয়েটি হায়দারনাসী মোহাম্মদীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য বিচারকরা হায়দারনাসী বাজারে মফিজ আলমের দোকানে মঙ্গলবার রাত ৯টায় গোপনে বিচারে বসে।
জানা গেছে ছেলের পক্ষের অনেকে বিচারে থাকলেও মেয়ের পক্ষের শুধু মেয়েটির বাবাকে থাকার সুযোগ দিয়েছে। বিচারে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে মেয়ের বাবার মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, ধর্ষক ভুল করেছে বলে মৌখিক ক্ষমা চেয়ে বিচার শেষ বলে সিদ্ধান্ত দেয় সালিশদাররা। আমি বিচার মানিনি। বিচারে সাবেক মেম্বার ও গ্রাম সর্দ্দার সৈয়দ আহমদ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিল।
ঘটনার সম্পর্কে অবগত আছেন মর্মে স্বীকার করে ইউপি মেম্বার শফিউল আলম বলেন, আমি সারাদিন এলাকায় ছিলামনা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলে শুনেছি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাটি জানিনা। এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.