Home / জাতীয় / ‘সম্মেলন উপলক্ষে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা’

‘সম্মেলন উপলক্ষে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা’

obaildul-kader

আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সম্মেলন উপলক্ষ্যে গঠিত দপ্তর উপ-কমিটির আহ্বায়ক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দপ্তর উপ-কমিটির সঙ্গে অন্য উপ-কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ওবায়দুল কাদের।

সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের। সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন, বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, এস এম কামাল হোসাইন, ইকবালুর রহিম, অপু উকিল, শাহে আলম মুরাদ, সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দলের জাতীয় সম্মলনে যে ব্যয় হবে, তা দলীয় তহবিল থেকে হবে। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে এই ব্যয় করা হচ্ছে এবং হবে। এর বাইরে কেউ যদি সম্মেলন উপলক্ষে চাঁদাবাজি করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় কমিটির সভায় যে বাজেট পাস হয়েছে, সেই বাজেটের মধ্যেই আমাদের সব ব্যয় সীমিত থাকবে। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটি তাদের বাজেট প্রস্তাব করতে পারে। কিন্তু বাজেট পাস করার এখতিয়ার তাদের নেই। এজন্য জাতীয় কমিটিতে যে বাজেট পাস হয়েছে, এর মধ্যেই তাদের ব্যয় সীমিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় সম্মেলনের জন্য ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বাজেট পাস হয়েছে।

এই বাজেটে কি সম্মেলনের সব ব্যয় নির্বাহ হবে? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি, হবে। এটা আমরা প্রমাণ করব। এজন্যই এই সম্মেলনকে বলছি ব্যতিক্রমী। আমরা আমাদের বাজেটের মধ্যেই একটা সুশৃঙ্খল, সুন্দর এবং স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ জাতীয় সম্মেলনে উপহার দেব।’

এবারের সম্মেলনকে অনেকে চমক বলছেন। চমকটা কী? এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘চমকটা কী, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। এটা হলো সিদ্ধান্তের বিষয়। চমকের কোনো বিষয় নয়। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের একটা ঐতিহ্য আছে। এই যে ডিজিটাল বাংলাদেশ; টেকনোলজির সাথে ট্রেডিশনের সমন্বয় ঘটবে। এখানে প্রবীণের অভিজ্ঞতার সাথে নবীণের এনার্জির সংমিশ্রণে নতুন মডেলে সময়ের প্রয়োজনে প্রবীণ-নবীনের সমন্বয়ে আমরা আওয়ামী লীগকে ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১’কে সামনে রেখে দলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢেলে সাজাব।

আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে রাজধানীতে যে যানজট হবে, তা কমাতে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনেকে ঘিরে একটা রোডম্যাপ আছে। আমাদেরও প্ল্যান আছে- যাতে জনদুর্ভোগ সহনশীল পর্যায়ে থাকে। ওই সময় এত মানুষ ঢাকায় আসবে আর আমরা একবারেই যানজটমুক্ত পরিবেশে সম্মেলন করব, এটা বললে হয়ত শুনতেও ভালো লাগে না। তবে সম্মেলনের সময় যাতে যানজট যতটা সম্ভব সহনশীল পর্যায়ে থাকে, সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা আছে।

আগামী সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের সংখ্যা কেমন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কিছু কিছু সময় কিছু কিছু সংকট আসে। সংকটের সময় আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশে তাৎক্ষণিক স্ট্র্যাটেজি নেই। তবে এবার আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে সহ-সম্পাদকদের এক শ’র মধ্যে সীমিত থাকবে। এটার ব্যাপারে এমনই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সূত্র:risingbd.com,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করল সাজাপ্রাপ্ত আসামী

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :বান্দরবানের লামায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন পুলিশ ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/