অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক বলা হয় সালমান শাহকে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে যিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলা সিনেমার উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। তার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২৫ বছর আগে এই দিনে সবাইকে অবাক করে বিদায় নেন এই সুদর্শন নায়ক।
তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। টেলিভিশন নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হলেও ১৯৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অন্যতম জননন্দিত শিল্পী হয়ে উঠেন। ১৯৯৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত মুক্তি পায়’। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়। জনপ্রিয় এই নায়ক নব্বইয়ের দশকের বাংলাদেশে সাড়া জাগানো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্র অভিনয় করেন এবং সবকয়টিই ছিল ব্যবসাসফল।
মৃত্যুর ২৫ বছর পরেও কমেনি তার এতটুকুও জনপ্রিয়তা, বরং সেই জনপ্রিয়তা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু দর্শক নয়, মৃত্যুর দুই যুগ পর এখনো সালমান শাহর অভাব অনুভব করেন বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক-প্রযোজক এবং অভিনয়শিল্পীরা।
১৯৭০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। বাবা-মায়ের দেয়া নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিনেমা জগতে ‘সালমান শাহ’ নাম নিয়ে অভিষেক হয় তার।
সালমান শাহ ১২ আগস্ট ১৯৯২ তার খালার বান্ধবীর মেয়ে সামিরা হককে বিয়ে করেন। সামিরা হক ছিলেন একজন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী। তিনি সালমানের ২টি চলচ্চিত্রে তার পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেন। সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ঢাকার ইস্কাটনে তার নিজ বাস ভবনে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য থেকে যায়।
নব্বইয়ের দশকে ছোট্ট ক্যারিয়ারে ঢাকাই সিনেমায় বেশ বড় প্রভাব ফেলেন সালমান। স্বল্প সময়ের মধ্যে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বেশিরভাগ সিনেমাই ব্যবসা সফল ছিল। যার মধ্যে কেয়ামত থেকে কেয়ামত, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, কন্যাদান, মায়ের অধিকার, সত্যের মৃত্যু নেই উল্লেখযোগ্য।
You must be logged in to post a comment.