সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / “হাওয়া” সিনেমার হাওয়া বইছে

“হাওয়া” সিনেমার হাওয়া বইছে

অনলাইন ডেস্ক :

‘পরাণ’ সিনেমার গল্পে কি আছে এটাই সবার কৌতূহল। সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমার জোয়ারকে আরো উত্তাল করে দিয়েছে ‌‘হাওয়া’। “হাওয়া” সিনেমা মুক্তির পর আজকেও সুপার বাম্পার চলতেছে। হাওয়া সিনেমাটি এই দিন দেখা যায় সিনেমা হলে সম্পূর্ণ টিকেট হাউসফুল। মুক্তির আগে থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছিল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার শুরু হয় সিনেমার ‌’সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি দিয়ে।

হাওয়া মূলত এ কালের রূপকথার গল্প। তবে যে রূপকথার গল্প সবাই শুনে আসছে, ঠিক তেমন না সিনেমাটির গল্প। এটি মাটির গল্প নয়, বরং পানির গল্প। সমুদ্রপারের নয়, গভীর সমুদ্রের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে হাওয়া।

এই সিনেমায় হাশিম মাহমুদের ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান ব্যবহৃত হয়েছে। কথা, সুর ও শিল্পী তিনি হলেও সিনেমায় গানটি কণ্ঠে তোলেননি তিনি। গেয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু। এরই মধ্যে গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শিবলুর ভাষ্য, ‘সাদা সাদা কালা কালা’ এখন গণমানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও এটি কিন্তু অনেক আগেই এক কনসার্টে গেয়েছেন। তখন আমি অল্প বয়সী। টিএসসির এক কনসার্টে হাশেম ভাই কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গানটি গেয়েছিলেন। ‌হাশিম ভাইকে আমি চিনি অনেক দিন। বিখ্যাত হওয়ার মানসিকতা তার কখনো ছিল না। তার ইচ্ছা প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়ানো, মানুষের সঙ্গে মেশা। খুবই সরল মানুষ হাশিম ভাই।

গানটি সিনেমায় যুক্ত করার যেই পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন, তার শুরু থেকে শেষ অবদি ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। যেহেতু সিনেমার গল্প সমুদ্র ও জেলেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে, তাই এক ফিশিং বোটে তিন দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে পরিচালক সুমনের সঙ্গে যান শিবলু। দেখেন ৫০ ফুট একটি নৌকায় ২০-২৫ জন জেলে থাকেন। সেখানেই মাইজ ভাণ্ডারির একটি নৌকা ছিল, তাতে হারমোনিয়াম দেখতে পান তারা। যেখান থেকে ‌একটি গানের পরিকল্পনা আসে নির্মাতার মাথায়। সেখান থেকেই নির্বাচিত হয় হাশিম মাহমুদের গানটি।

‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি হাশিম মাহমুদের কণ্ঠেই রেকর্ড করা কথা ছিল শুরুতে। কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। গানটি পরবর্তীতে তৈরি প্রসঙ্গে শিবলু বলেন, ‌গানটি নির্বাচনের পর সুমন ভাই সঙ্গীতায়োজনের দায়িত্ব দেন ইমন চৌধুরীকে। আর এর সঙ্গে বলেন দেন যে গানটিতে যেন খমক ছাড়া আর কোনো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করা হয়। সেই চিন্তা থেকে ইমন যুক্ত করেন মাছ ধরার ট্রলারে অনেক ধরনের জিনিসপত্র। তেলের ড্রাম, প্লাস্টিক বল, মগ, বাঁশ, লাঠি ও টিনের অনেক কিছু দিয়ে সাউন্ড তৈরি করে গানে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এর অন্যতম কারিগর মিঠুন চাকরা।

‘সাদা সাদা কালা কালা’ দিয়ে অনেকদিন পর সিনেমার কোনো গান এতোটা আলোচনায় এসেছে।

শিবলু বলেন, আমি শুরুতে বলেছি এই গান দিয়ে বহু বছর আগে টিএসসির কনসার্টে মানুষের মন জয় করেছেন। আসলে গানটিই এমন। এছাড়া হাশিম ভাইয়ের লেখা এই গানের কথা-সুর খুবই সরল। এছাড়া গানটির সঙ্গীতায়োজনও ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। রিদম এতোটাই সহজ যে, কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই কণ্ঠে তুলে ফেলতে পারেন।

‘সাদা সাদা কালা কালা’ গাওয়ার পাশাপাশি সিনেমায় গানটির দৃশ্যে ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। তবে একটি বিষয় হয়তো অনেকের অজানা, পুরো সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

গানটি প্রসঙ্গে শেষ কথা বলতে গিয়ে শিবলু আবারো বলেন হাশিম মাহমুদকে নিয়ে। জানান, গানের এই গুণী কারিগরকে আবারো ফিরে পেতে চান তারা। তাকে সুস্থ করে তুলতে নিজেদের উদ্যোগও রয়েছে। এমন একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোয় আরো আলোকিত হওয়া যে এখনো বাকি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/10/Entertainment-Mozib.jpg

মুক্তির অপেক্ষায় ‘মুজিব’

  অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/