আজ একটি বিশেষ দিন। আজ মা দিবস। সত্যি বলতে, মায়ের জন্য প্রতিটি দিনই। সময়ের বহমান স্রোতে আমরা হারিয়ে ফেলি শৈশব। সেখান থেকে নিজের ব্যস্ততায় কখন যেন মন থেকে দূরে সরে যায় মায়ের গুরুত্ব। মা তো আছে, খাবার তো তৈরি পাচ্ছিই, দিন শেষে ঘরে ফিরে টিপটপ বিছানায় আরাম করে ঘুমাচ্ছি। কিন্তু এর পেছনে কার অবদান, সেটি যেন ভুলতে বসি। আসলে আমরা ভুলেই গিয়েছি, যে মানুষটি আমাদের জন্ম দিতে গিয়ে কী তীব্র ব্যথা সহ্য করেছিলেন! শুধু কি জন্ম? তিনি কি প্রতি পদে পদে যন্ত্রণার সম্মুখীন হননি, যখন আমরা একটু একটু করে বড় হচ্ছিলাম?
হ্যাঁ, আমরা বড় হচ্ছিলাম, আর মা আমাদের বুড়ো হচ্ছিলেন। একটি সময় পর মা’কে বোঝা মনে হয়। ফেলে আসি তাকে বৃদ্ধাশ্রম নামের কারাগারে। আচ্ছা, আমরা সন্তানরা কি মানুষ! এই জন্যই কি সন্তানদের জন্ম দেন মহান মায়েরা?
আজ সেই বিখ্যাত ‘মা’ দিবস। আজ হয়ত অনেকে নিজেদের হারিয়ে ফেলা মায়েদের মনে করে চোখের পানি ফেলবেন। অনেকে মায়ের সঙ্গে সারাটা দিন কাটানোর পরিকল্পনা করছেন। আবার অনেকে ভুলে বসে থাকবেন, বৃদ্ধাশ্রমে নিজের মা’কে ফেলে এসেছেন!
যাই হোক। আজ একটি আনন্দের দিন। আজ মায়েদের দিন। মায়ের জন্য কবি, সাহিত্যিক, গীতিকাররা লিখে গেছেন অজস্র কবিতা, সাহিত্য আর গান। প্রতিবছর মায়েদের এই দিবসে মা’দের জন্য কত বৈচিত্র্যপূর্ণ উপহারই না বের হয়। কিন্তু একজন মা কি কোনো উপহার চান তার সন্তানের কাছ থেকে? সন্তানের জন্য শুভকামনা ছাড়া, দোয়া করা ছাড়া মায়ের চাওয়া আর কী থাকতে পারে? আপনি ছোট হন, কিংবা বড়, আপনার আঙুল কেটে রক্ত বেরুলে আপনার চেয়ে ব্যথা যে আপনার মা পাচ্ছেন, সেটি কি আপনি জানেন? আপনি জীবনের কোনো মুহূর্তে হোঁচট খেলে আপনার মা হেরে যান, সেটি কি আপনার জানা আছে? তাই তো বলছি, মা’কে জানুন, মা’কে পড়তে শিখুন। মায়ের জন্য বাজার থেকে কোনো উপহার কিংবা কেক না নিয়ে গিয়ে, মায়ের সঙ্গে গল্প করুন। তাকে সময় দিন। বিনিময়ে তাকে কি দিলেন জানি না কিন্তু এটা নিশ্চিত, আপনি পাবেন এক অসাধারণ মুহূর্ত। মায়ের ভুবন ভুলানো হাসি… আহা, এই হাসির জন্য যে হাজারবার মরতে পারি, মা।
সূত্র:শামীমা সীমা/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.